সিরাজগঞ্জে স্মার্টফোনের নতুন ‘নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ’ চালু
Published: 16th, October 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ সদর শহরে যাত্রা শুরু করল ওয়ালটন মোবাইলের এক্সক্লুসিভ নতুন নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ ‘তুলি ফ্ল্যাগশিপ জোন’।
সদ্য চালু হওয়া এই মোবাইল ব্র্যান্ডশপে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক মডেলের স্মার্টফোন ও এক্সেসরিজ।
আরো পড়ুন:
কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা
হাসান হাফিজের জন্মদিনে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শহরের স্টেশন রোডে এই ব্র্যান্ডশপ উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন মোবাইলের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন, ডিভিশনাল সেলস ডিরেক্টর মিঠুন রায়, তুলি ব্র্যান্ডশপের স্বত্তাধিকারী আসাদুজ্জামান তোতা প্রমুখ।
গ্রাহকপ্রিয়তা এবং দেশব্যাপী ওয়ালটন মোবাইলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইলের জন্য বিশেষায়িত ব্র্যান্ড শপ চালু করে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ পরিচালনা করছে ওয়ালটন। উদ্দেশ্য, স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসা। এর আগে মোবাইলের শোরুম স্মার্ট পয়েন্ট চালু করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন মোবাইলের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন বলেন, “ক্রেতারা আমাদের পণ্য আগ্রহের সাথে গ্রহণ করেছেন বলেই ওয়ালটন আজ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান প্রতিষ্ঠান। তাই ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সারাদেশে নতুন নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ খোলা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
তিনি জানান, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিজনেস এক্সপানশনের অংশ হিসেবে এই ব্র্যান্ডশপ চালু করেছে ওয়ালটন মোবাইল।এসব ব্র্যান্ডশপে স্মার্টফোন সহজলভ্য হবে। ক্রেতারা সহজেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মোবাইল ফোন ও এক্সেসরিজ হাতের নাগালে পাবেন।
জানা গেছে, মোবাইল ফোন ডিভাইস উৎপাদন ও বিপণনের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা ও গুণগতমান উন্নয়নে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে ওয়ালটন। যার প্রেক্ষিতে মোবাইল ফোনের সার্ভিস নিশ্চিতে ওয়ালটন সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ালটন মোবাইল টাচ পয়েন্টও উদ্বোধন করা হয়েছে। এভাবে বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে সার্ভিস পয়েন্টও চালু হচ্ছে।
ঢাকা/মাহফুজ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ১টি সেল কাউন্টার ও ২টি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন দিলেন ডিসি
১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নারায়ণগঞ্জে আগত ডেঙ্গু রোগীদের নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্টসহ অন্যান্য ব্লাড টেস্ট করতে জন্য ১টি সেল কাউন্টার ও ২টি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন সরবরাহ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির আওতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই দুটি আধুনিক যন্ত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
পরে জেলা প্রশাসক হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন করেন এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ও মেঝেতে থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রায় কোটি লোকের বসবাস। জেলার স্বাস্থ্যসেবায় অত্র হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মাসে লক্ষাধিক রোগী এই হাসপাতাল থেকো সেবা নিচ্ছে। তবে চিকিৎসক ও জনবল অপ্রতুল হওয়ায় কাঙ্খিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না। আজকে এই হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ১টি সেল কাউন্টার ও ২টি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।
এ সময় তিনি ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, রোগীরা যেন পূর্ণ মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা পান, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “আগে আমাদের এখানে অটোমেটিক সিবিসি মেশিন ছিল না।
এখন আমরা আরও নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্টসহ অন্যান্য ব্লাড টেস্ট করতে পারব। এতে ডেংগু রোগীদের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। পোর্টেবল ইসিজি মেশিনের মাধ্যমে সরাসরি রোগীর কাছে গিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, “আমাদের হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও আমরা কাউকে ফেরত দিই না।
এই নতুন মেশিনগুলো আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। জেলা প্রশাসক শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিটি বিভাগের বিষয়েও খুবই মনোযোগী এটাই একজন প্রকৃত জেলা প্রশাসকের বৈশিষ্ট্য।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।