সীমান্তের কাছে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত
Published: 17th, October 2025 GMT
আফগান সীমান্তের কাছে আত্মঘাতী হামলায় সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এমন সময় এই হামলার ঘটনা ঘটলো, যখন দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কয়েকদিনের লড়াইয়ের পরে বুধবার রাত থেকে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি পাকিস্তানি সামরিক শিবিরে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় সাত সেনা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। সামরিক শিবির হিসেবে ব্যবহৃত একটি দুর্গের সীমানা প্রাচীরে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ধাক্কা দেয় একজন, অন্য দুজন সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
২০২১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিদায়ের পর কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসা আফগান তালেবানদের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। পাকিস্তানের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছেন: জামায়াত আমির
কোনো দেশপ্রেমিক ও ইসলামী দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ আগস্টের পর আবির্ভূত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘তবে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ‘ক্যু’ করার চেষ্টা করছেন।’’
আরো পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব
আট দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী বাবরী চত্বরে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম।
জামায়াতে ইসলামী আমির বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর যারা (চাঁদাবাজ হিসেবে) আবির্ভূত হয়েছিলেন, দায় এবং দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। বলেছিলাম, এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয় বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ওই মায়েরা আমাদের ক্ষমা করবেন না। কিন্তু বন্ধ হয়নি।’’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে কৌশলে জিততে কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। তবে বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না ইনশাল্লাহ।’’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ বাহাত্তরের বাকশালপন্থি, আরেক ভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি।’’
তিনি বলেন, “রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ আর বাংলার মাটিতে ফিরে আসবে না। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। এই সনদের পূর্ণ আইনি স্বীকৃতির জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে। সব একসঙ্গে গুলিয়ে এই মাহাত্ম্য নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন করা হোক।’’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল