গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 17th, October 2025 GMT
গাজীপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
শুক্রবার দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার, একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য ও প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এতে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ইসলামী ছাত্রশিবির। মিছিল শেষে বিশ্বজিৎ চত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, ধর্ষণ শুধু একটি অপরাধ নয়, এটি মানবতার প্রতি এক নির্মম আঘাত। এ অপরাধের কোনো যুক্তি, কোনো ক্ষমা, কোনো আপস নেই। নীরবতা মানে অন্যায়ের প্রশ্রয়, তাই আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠে উচ্চারণ করি ‘না’।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী থামাসুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গাজীপুরের ঘটনায় পুলিশ ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘গাজীপুরে অত্যন্ত নির্মম একটা ঘটনা ঘটেছে। বরাবরের মতো সরকার উদাসীন। ইন্টেরিম সরকারের আমলে প্রায় চার শতাধিক শিশু ধর্ষণ, নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আজকের ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, আপনারা জনগণের সরকার হতে পারেন নাই। আপনারা ধর্ষকের সরকার হয়েছেন।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। গাজীপুরে ধর্ষণ হয়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব। ধর্ষণের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, উভয় পক্ষের ‘বিজয় দাবি করা’ উচিত এবং এই রক্তপাত থামানো উচিত।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প এ কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কির সঙ্গে খুবই আগ্রহোদ্দীপক এবং আন্তরিক বৈঠক হয়েছে। তবে আমি তাঁকে বলেছি, যেমনটি আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকেও জোর দিয়ে বলেছি, এখন খুনোখুনি বন্ধের সময় আর চুক্তি করে ফেলো।’
বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলেনস্কি বলেন, তিনি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলাপ করেছেন। তবে এ বিষয়ে জনসমক্ষে ‘আমরা কোনো কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র চায় না (মস্কোর সঙ্গে) উত্তেজনা তৈরি হোক।’
এ সময় বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন। আমাদের জনগণ আতঙ্কে আছেন যে, যদি (যুদ্ধবিরতি) হয়, তাহলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন, যাতে পুতিন আবার আগ্রাসন না চালাতে পারেন।’
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ হয় ট্রাম্পের। ওই ফোনালাপে দুই নেতা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তবে এই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে হবে বৈঠক১৬ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনপুতিন যুদ্ধ না থামালে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন ট্রাম্প১৩ অক্টোবর ২০২৫