গাজীপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

শুক্রবার দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার, একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য ও প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এতে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ইসলামী ছাত্রশিবির। মিছিল শেষে বিশ্বজিৎ চত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, ধর্ষণ শুধু একটি অপরাধ নয়, এটি মানবতার প্রতি এক নির্মম আঘাত। এ অপরাধের কোনো যুক্তি, কোনো ক্ষমা, কোনো আপস নেই। নীরবতা মানে অন্যায়ের প্রশ্রয়, তাই আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠে উচ্চারণ করি ‘না’।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী থামাসুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গাজীপুরের ঘটনায় পুলিশ ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘গাজীপুরে অত্যন্ত নির্মম একটা ঘটনা ঘটেছে। বরাবরের মতো সরকার উদাসীন। ইন্টেরিম সরকারের আমলে প্রায় চার শতাধিক শিশু ধর্ষণ, নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আজকের ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, আপনারা জনগণের সরকার হতে পারেন নাই। আপনারা ধর্ষকের সরকার হয়েছেন।’

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। গাজীপুরে ধর্ষণ হয়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব। ধর্ষণের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

০ রানে আউট ৫ জন, ১৩ রানে হার বাংলাদেশের

পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ১০০ রানও করতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ৮৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পরও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১ বল বাকি থাকতে অলআউট হলো ৭৫ রানে। ১৩ রানে হেরে ৫ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ল ১-০ ব্যবধানে।

কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইমান নাসের। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন মাত্র দুজন—আরিসা আনসারি ২৩ বলে ২২ ও রাবাইল ফারহান ১৮ বলে ১০ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জারিন তাসনিম। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

অল্প রানে প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলেও নিজেদের ব্যাটিং–ব্যর্থতায় হতাশ হতে হলো বাংলাদেশকে। আউট হওয়া ১০ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৫ জনই শূন্য রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন! সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আরিত্রি নিরঞ্জনা মণ্ডল (৩৮ বলে)। শেষ দিকে সাদিয়া আক্তারের ২০ বলে ১৬ রান এবং ববি খাতুনের ১৮ বলে ১৩ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না

পাকিস্তান দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেন সাহারা বানু, নেন ৩ উইকেট। রোজিনা আকরাম ও মেমুনা খালিদ পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

৫ ম্যাচের এই টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব–১৯ দল এসেছে বাংলাদেশে ৩০ নভেম্বর। ৫, ৭, ১০ ও ১২ ডিসেম্বর হবে সিরিজের বাকি চার ম্যাচ।

আরও পড়ুনশেষ রাউন্ডেই শিরোপার নিষ্পত্তি, প্রিতম–সোহাগের সেঞ্চুরি৪৩ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ