মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 18th, October 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শ্রমিক দলের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার নলুয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ফজলু মিয়া (৪০) উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। মামলা হওয়ার পর তাঁকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম জানান, গত মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে মেয়েটিকে নিয়ে তার মা মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের পরিচিত ফজলু মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। তখন ফজলু মিয়া বলেন, তিনি মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেবেন। এরপর তিনি (শিশুটির মা) বাড়ি ফিরে যান। পরে মাদ্রাসার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগে ফজলু শিশুটিকে সড়কের পাশে বনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে অসুস্থ শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।
সখীপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে এখনো ডাক্তারি পরীক্ষার পুরো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, আজ শনিবার আসামি ফজলু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আলোচিত রায়হান হত্যার রায় ৭ জানুয়ারি
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার রায় আগামী ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবেন আদালত। রবিবার (৩০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের দাবি ছিল-পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খলাপাড়ার গণহত্যা দিবস: স্বাধীনতার প্রান্তে শহীদ হন ১০৬ জন
মেহেরপুরে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ২
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল ইসলাম বলেন, “আদালতে কারাবন্দি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এর আগে, ২৬ নভেম্বর মামলার পলাতক থাকা পাঁচ আসামির যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি রায়হান হত্যার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানান।”
সূত্র জানায়, মামলার অন্য আসামিদের বেশির ভাগই জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলেও পরবর্তীতে তাঁর জামিন স্থগিত করা হয় এবং ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি আদালতে হাজির না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এরপর এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ২০২১ সালের ৫ মে।
অভিযুক্তরা হলেন- ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
এ মামলায় ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। চার বছর পর এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন রায়হানের পরিবার।
ঢাকা/রাহাত/মাসুদ