পাকিস্তানের হামলায় তিন স্থানীয় ক্রিকেটারের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। নিহতদের নাম প্রকাশ করেছে বোর্ড। তারা হলেন- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুন। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়।

ঘটনার পর গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এসিবি। বোর্ড জানায়, নিহত ক্রিকেটাররা পূর্ব পাকতিকা প্রদেশের উরগুন থেকে প্রতিবেশী শহর শারানায় এক প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। খেলা শেষে নিজ শহরে ফিরে আসার পর স্থানীয় এক সমাবেশে তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসিবির ভাষায়, এটি ছিল “পাকিস্তান কর্তৃক পরিচালিত একটি কাপুরুষোচিত আক্রমণ।”

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের সংঘাতে জড়াল পাকিস্তান-আফগানিস্তান

আফগান সীমান্তে ৩০ জনেরও বেশি ‘অনুপ্রবেশকারীকে’ হত্যার দাবি পাকিস্তানের

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আফগানিস্তান আগামী মাসে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে নির্ধারিত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে। বোর্ড জানিয়েছে, “নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এসিবি এক বিবৃতিতে বলে, “এটি আফগানিস্তানের ক্রীড়া সমাজ, ক্রীড়াবিদ ও ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সংহতি জানাচ্ছি।”

এদিকে আফগান দলের পেসার ফজলহক ফারুকি সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “নিরীহ নাগরিক ও আমাদের দেশীয় ক্রিকেটারদের ওপর এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ একটি জঘন্য ও অমার্জনীয় অপরাধ।”

আরেক তারকা মোহাম্মদ নবী বলেন, “এটি শুধু পাকতিকার নয়, পুরো আফগান ক্রিকেট পরিবার ও জাতির জন্য এক বিশাল শোকের দিন।”

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জানিয়েছে যে তারা এ ঘটনাকে “জাতীয় শোক” হিসেবে দেখছে এবং নিহত খেলোয়াড়দের স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই ওয়েবসাইট ব্লক

জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। রবিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে। সরকারের সতর্কতার পর এরইমধ্যে ক্রিকইনফোসহ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে উল্লেখ করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এবিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পযবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)  এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ