যুক্তরাষ্ট্রের ছোট থেকে শুরু করে বড় শহর পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি স্থানে শনিবার লাখ লাখ মানুষ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে। শনিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

জুন মাসে গণবিক্ষোভের নেপথ্যে থাকা জোট ‘নো কিংস’ আবারও জনগণকে রাস্তায় নেমে এই সহজ বার্তা দিতে আহ্বান জানাচ্ছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজা নন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে এখন সামরিক উপস্থিতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই স্থানীয় নেতাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ট্রাম্প ইতিমধ্যে ভিন্নমত দমন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবুও, আয়োজকরা জানিয়েছেন, তারা মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই এক দিনের গণবিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই জোট জুনে ‘নো কিংস’ প্রতিবাদ দিবসের নেতৃত্ব দিয়েছিল। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বিক্ষোভকে নো কিংস বলার কারণ হচ্ছে, আমেরিকায় কোনো ধরণের নিরঙ্কুশ শাসক নেই তা তুলে ধরার জন্য এই প্রতিবাদ এবং এটি ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দেশের পূর্ব উপকূলে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে বিক্ষোভের প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ আটলান্টা সিভিক সেন্টারের মাঠে জড়ো হয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে

দুঃশাসন হটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে কৃষকের তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এই মন্তব্য করেন।

সভায় নেতারা বলেন, তেভাগা আন্দোলন মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও মুক্তি মেলেনি। তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিল জমিদার ও জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পূঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

ইলা মিত্রের ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।

আলোচনা সভায় বক্তরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ