দুঃশাসন হটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে কৃষকের তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এই মন্তব্য করেন।

সভায় নেতারা বলেন, তেভাগা আন্দোলন মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও মুক্তি মেলেনি। তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিল জমিদার ও জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পূঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

ইলা মিত্রের ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।

আলোচনা সভায় বক্তরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

০ রানে আউট ৫ জন, ১৩ রানে হার বাংলাদেশের

পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ১০০ রানও করতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ৮৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পরও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১ বল বাকি থাকতে অলআউট হলো ৭৫ রানে। ১৩ রানে হেরে ৫ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ল ১-০ ব্যবধানে।

কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইমান নাসের। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন মাত্র দুজন—আরিসা আনসারি ২৩ বলে ২২ ও রাবাইল ফারহান ১৮ বলে ১০ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জারিন তাসনিম। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

অল্প রানে প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলেও নিজেদের ব্যাটিং–ব্যর্থতায় হতাশ হতে হলো বাংলাদেশকে। আউট হওয়া ১০ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৫ জনই শূন্য রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন! সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আরিত্রি নিরঞ্জনা মণ্ডল (৩৮ বলে)। শেষ দিকে সাদিয়া আক্তারের ২০ বলে ১৬ রান এবং ববি খাতুনের ১৮ বলে ১৩ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না

পাকিস্তান দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেন সাহারা বানু, নেন ৩ উইকেট। রোজিনা আকরাম ও মেমুনা খালিদ পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

৫ ম্যাচের এই টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব–১৯ দল এসেছে বাংলাদেশে ৩০ নভেম্বর। ৫, ৭, ১০ ও ১২ ডিসেম্বর হবে সিরিজের বাকি চার ম্যাচ।

আরও পড়ুনশেষ রাউন্ডেই শিরোপার নিষ্পত্তি, প্রিতম–সোহাগের সেঞ্চুরি৪৩ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ