রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যু
Published: 24th, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো হাবীবা আক্তার (৬), সুমাইয়া আক্তার (৫) ও জান্নাত আক্তার (৫)। আজ শুক্রবার বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খেলতে খেলতে তিনজনই বাড়ির পাশের পুকুরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিন শিশুই নিকটাত্মীয়। এর মধ্যে হাবীবা ও সুমাইয়া বোন। জান্নাতদের বাড়ি অন্য এলাকায়। জান্নাত বেড়াতে এসেছিল। কিন্তু খেলতে গিয়ে একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যু হলো।
একতেহার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়িতে শিশুদের হাসি-খেলা লেগে থাকত, সেখানে এখন শুধু নিস্তব্ধতা। তিনটি ছোট জীবনের এমন হঠাৎ চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারছে না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে টেশিস ও ইডটকো
টেলিযোগাযোগ খাতে স্থানীয় কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করেছে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ। নতুন এ চুক্তির আওতায় টেশিসের স্থাপনায় ব্যাটারি মেরামত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, ফলে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহারের পাশাপাশি ই-বর্জ্য হ্রাস এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইডটকো বাংলাদেশ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে দেশেই ব্যাটারি সেল উৎপাদনের পথ সুগম হবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং নতুন প্রযুক্তি খাত গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এই চুক্তি দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, টেশিসের শিল্প সক্ষমতা ও ইডটকোর আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে, যা শুধু টেলিযোগাযোগ খাত নয়, ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর অন্যান্য শিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সুনীল আইজ্যাক বলেন, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের অংশীদার হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই উদ্যোগ, উদ্ভাবন এবং স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনশক্তির ক্ষমতায়ন ও সম্পদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে।
মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এই সমঝোতা স্মারক দেশীয় সক্ষমতা, দক্ষতা ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টিএসএসের উৎপাদন সক্ষমতা এবং ইডটকোর প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে একীভূত করার মাধ্যমে আমরা দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং একটি আরও টেকসই ও স্বনির্ভর টেলিকম শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি।