সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি।

আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য মো.

সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এছাক মিয়া প্রমুখ।

রেজিস্ট্রার বলেন, আসন্ন শাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের মো. মিছবাহ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, গণিতের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ, রসায়নের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম, সমাজকর্মের অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার রহমান ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিক মিয়া।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন একদল শিক্ষার্থী১৯ অক্টোবর ২০২৫

রেজিস্ট্রার বলেন, নির্বাচন কমিশন বর্তমান প্রবিধি অনুযায়ী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ ঠিক করবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’

এর আগে ২২ অক্টোবর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেন একদল শিক্ষার্থী। এরপর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও আজ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি।

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবারের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।’

জানতে চাইলে শাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই খবর পেয়েছি, নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমাকে বাছাই করা হয়েছে। যেহেতু শাকসু নির্বাচন অনেকদিন পর হচ্ছে, তাই সবার প্রত্যাশাও বেশি। সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করব। এই সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করে একটি রোডম্যাপ দেওয়ার চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে শাকসু নির্বাচন হয়েছিল। এরপর প্রায় ২৮ বছর অচল ছিল শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম। অবশেষে গঠনতন্ত্র অনুমোদন ও কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি বাছাইয়ে শাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন : গঠনতন্ত্র ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা১৪ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ল ইসল ম সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

শাকসু নির্বাচন আয়োজনে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি।

আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এছাক মিয়া প্রমুখ।

রেজিস্ট্রার বলেন, আসন্ন শাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের মো. মিছবাহ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, গণিতের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ, রসায়নের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম, সমাজকর্মের অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার রহমান ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিক মিয়া।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন একদল শিক্ষার্থী১৯ অক্টোবর ২০২৫

রেজিস্ট্রার বলেন, নির্বাচন কমিশন বর্তমান প্রবিধি অনুযায়ী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ ঠিক করবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’

এর আগে ২২ অক্টোবর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেন একদল শিক্ষার্থী। এরপর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও আজ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি।

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবারের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।’

জানতে চাইলে শাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই খবর পেয়েছি, নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমাকে বাছাই করা হয়েছে। যেহেতু শাকসু নির্বাচন অনেকদিন পর হচ্ছে, তাই সবার প্রত্যাশাও বেশি। সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করব। এই সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করে একটি রোডম্যাপ দেওয়ার চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে শাকসু নির্বাচন হয়েছিল। এরপর প্রায় ২৮ বছর অচল ছিল শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম। অবশেষে গঠনতন্ত্র অনুমোদন ও কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি বাছাইয়ে শাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন : গঠনতন্ত্র ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা১৪ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা