সময়টা ২০০৫ সাল। ক্যারিয়ার ও জীবনের নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিতেন দুই বন্ধু আফতাবুজ্জামান ত্রিদিব ও শেখ রিয়াজ। আড্ডায় ঘুরেফিরে আসত সংগীতের কথা। একসময় তাঁরা ভাবলেন, এমন একটি ব্যান্ড গড়বেন, যেটি সমাজ ও দেশের কথা বলবে, যেখানে থাকবে তাঁদের জীবনধারা ও চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি।
সে বছরের ২৩ নভেম্বর ধানমন্ডির মিউজিক ম্যানিয়ায় প্রথম প্র্যাকটিস সেশন করেন তাঁরা। ত্রিদিব (ভোকাল), রিয়াজের (ড্রামস) সঙ্গে যোগ দেন রুশো খান (বেজ) ও তামজীদ খান (গিটার)। এক মাসের মধ্যেই ব্যান্ডে যোগ দেন গিটারিস্ট ইমরান আহমেদ—এভাবেই জন্ম নেয় মেকানিক্স।
প্রথম ছয় মাস টানা প্র্যাকটিসে কাটে। ব্যান্ডের সদস্যদের শপথ ছিল—নিজেদের শতভাগ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো কনসার্ট নয়। ত্রিদিব বলেন, ‘এই কঠিন সিদ্ধান্তের কারণেই আমাদের প্রথম শো থেকে আজ পর্যন্ত কখনো কনসার্ট খুঁজতে হয়নি, বরং কনসার্টই আমাদের খুঁজে নিয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’
যুক্তরাষ্ট্র এখনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। তবে শুধু র্যাঙ্কিং বা কোর্স নয়, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—কোন শহরে পড়বেন?
নিউইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো জনবহুল শহর থেকে শুরু করে অ্যান আরবার বা বোল্ডারের মতো ছোট কলেজ টাউন—প্রতিটি জায়গার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার গন্তব্য বেছে নিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ‘থ্রি–সি’র। এগুলো হলো ‘সম্প্রদায় বা কমিউনিটির আকার, সংস্কৃতি ও জলবায়ু।
১. কমিউনিটির আকার: বড় শহর নাকি ছোট কলেজ টাউন
যুক্তরাষ্ট্র বিশাল ও বৈচিত্র্যময়। বড় শহরগুলোতে পাওয়া যায় নানা সংস্কৃতির মিলন, বৈচিত্র্যময় খাবার এবং পেশাগত নেটওয়ার্ক ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এখানে নিজের দেশের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় কমিউনিটি খুঁজে পাওয়া সহজ, যা প্রবাসজীবনে মানসিক সহায়তা দেয়। তবে বড় শহরে বসবাসের খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।
অন্যদিকে ছোট শহর বা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক কলেজ টাউনগুলো সাধারণত সাশ্রয়ী ও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এসব জায়গায় সবকিছু ঘুরেফিরে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই থাকে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
ফাইল ছবি