রাশিয়া থেকে প্রথমবার পণ্যবাহী ট্রেন পৌঁছেছে ইরানের বন্দরে
Published: 9th, November 2025 GMT
রাশিয়া থেকে যাত্রা করা একটি পণ্যবাহী ট্রেন গতকাল শনিবার ইরানের আপরিন ড্রাই বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়া থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রেন ইরানের এ বন্দরে পৌঁছেছে।
এ ঘটনা রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দেয়। সেই সঙ্গে এটাকে ইরান, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে একটি বড় পদক্ষেপ ধরা হচ্ছে।
পণ্যবাহী ট্রেনটিতে ৬২টি কনটেইনার রয়েছে। একেকটি কনটেইনার ৪০ ফুট দীর্ঘ। সেগুলোতে কাগজ, পাল্প আর সংশ্লিষ্ট নানা পণ্য রয়েছে। ট্রেনটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার উত্তর থেকে ইরান ও ইরাকের উদ্দেশে যাত্রা করে।
শুরুতে রাশিয়া, এরপর কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান পেরিয়ে ইরানে প্রবেশ করে পণ্যবাহী ট্রেনটি। এ ট্রেন ১২ দিনের যাত্রা শেষে ইরানি বন্দরটিতে এসে পৌঁছায়।
ইরান রেলওয়ের বাণিজ্য ও পরিচালনাবিষয়ক উপপরিচালক মোর্তেজা জাফারি শনিবার ইরনাকে বলেন, এ বছরের জুনে চীন থেকে প্রথম একটি পণ্যবাহী ট্রেন আপরিন ড্রাই বন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর থেকে এখানে এমন ৩০টি ট্রেন এসেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা