আগামী বছর ঈদে এবং পূজায় ছুটি নিয়ে যা জানা গেল
Published: 9th, November 2025 GMT
চলতি বছরের মতোই আগামী ২০২৬ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুইদিন সরকারি ছুটি থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি বছরের মতো আগামী বছরও ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুইদিন ছুটি থাকবে। এ প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছর ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া স্বস্তিদায়ক ছিল এবং দুর্ঘটনাও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছিল। সেই ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণেই আগামী বছরের ছুটির কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সূত্রমতে, আগামী বছর ঈদুল ফিতরের মূল দিনসহ আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট পাঁচদিনের ছুটি থাকবে। ঈদুল আজহার মূল দিন, আগে দুই দিন ও পরে তিন দিনসহ মোট ছয়দিনের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য মহানবমী ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দুইদিন ছুটি থাকবে। দুই ঈদের মূল দিন ও বিজয়া দশমীর দিন সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে, আর আগের বা পরের দিনগুলো নির্বাহী আদেশে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর ছুটির তালিকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় দপ্তরগুলোতে পাঠানো হবে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসমূহ সময়মতো বার্ষিক কার্যসূচি নির্ধারণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেন উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
সে অনুযায়ী আগামী বছর সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৯ দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে যাবে।
ঢাকা/এএএম//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে হতে যাওয়া এই আসরে ভারতের পাঁচটি শহরকে মনোনীত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাই। অন্যদিকে, কলম্বো ও ক্যান্ডি থাকবে শ্রীলঙ্কার প্রধান দুটি ভেন্যু হিসেবে।
টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, আর ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মেগা ফাইনাল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আইসিসি আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করবে পূর্ণাঙ্গ সূচি। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দল গ্রুপিং ও ম্যাচসূচির অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত টিকিট বিক্রির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি আইসিসি।
আরো পড়ুন:
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পেল নেপাল ও ওমান
বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি চান শারমিন
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে নয়, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে। সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান দলের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি তারা ফাইনালে পৌঁছালেও, সেই ম্যাচও হবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
২০২৪ সালের মতোই থাকছে একই ফরম্যাট। মোট ২০টি দল, ভাগ হবে চারটি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার এইট পর্বে। যেখানে থাকবে দুটি গ্রুপ। প্রতিটিতে চার দল করে। সেখান থেকে শীর্ষ দুটি করে দল যাবে সেমিফাইনালে। আর সেখানকার দুই বিজয়ী লড়বে ফাইনালে।
আয়োজক দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জায়গা পেয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা সাত দল- আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি সুযোগ পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।
বাছাই পর্ব থেকে জায়গা করে নিয়েছে-
আমেরিকা অঞ্চল থেকে: কানাডা,
ইউরোপ অঞ্চল থেকে: ইতালি (প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে) ও নেদারল্যান্ডস,
আফ্রিকা অঞ্চল থেকে: নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে,
এশিয়া-ইএপিপি অঞ্চল থেকে: নেপাল, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এবার ঘরের মাঠে তারা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে।
ঢাকা/আমিনুল