‘কথায় কথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোটের প্রার্থী আসে কেন`
Published: 9th, November 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের প্রতি এত অবহেলা কেন। কথায় কথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোটের প্রার্থী আসে কেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উন্নয়ন হয় না কেন। আমরা কি ভোট দিতে কার্পন্ন করি। আমরা কি ভোটের বাক্স ভরে দেই না। তাহলে কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতি এই অবহেলা। এসবের সমুচিত জবাব দেবে আমার এলাকার জনগণ।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আশুগঞ্জ উপজেলা শাখা সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভার আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব: সপু
বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা.
রুমিন রুমিন ফারহানা জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন। আপনারা দেশের মালিক। জনগণ দেশের মালিক। নিজের মালিকানা অন্যের কথায় আরেকজনের হাতে, ভুল মানুষের হাতে তুলে দেবেন না। আমার আগামী রাজনীতি নির্ধারিত হবে, আপনাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।”
তিনি বলেন, “আপনার যদি আমার পাশে থাকেন, তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত এই এলাকায় হবে আমার শেষ ঠিকানা।”
রুমিন ফারহানা বলেন, “অনেকেই বলবে, উনাকে (রুমিন) এইডা দেওয়া হবে, সেটা হবে। আমি বলি, আমার এলাকার মানুষের ভোট ছাড়া আমি কারো কিছু আর চাই না। আপনাদের মাটির সন্তান আমি, আপনাদের পাশে আছি,আপনাদের পাশেই থাকব; ইনশাআল্লাহ।”
তারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন সাইমোল্লার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইসহাক মিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয় ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহিয়া মাসউদ।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব র হ মণব ড আপন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে চাই: নাসীরুদ্দীন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “আমরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে চাই। যারা আমাদের সঙ্গে অঙ্গীভূত হবেন, একীভূত হবেন, তাদের জন্য সেখানে একটি নামমাত্র ফি রাখা হয়েছে। আপনারা জানেন, নির্বাচনের জামানত ফি এবার ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন যে রুলস-রেগুলেশন সেখানে এসেছে, আমরা ন্যূনতম একটা ফি রেখেছি।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের ডামাডোল বেজে গিয়েছে। আমাদের যেমন সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে, সাথে সাথে আমাদের একটি সুন্দর পার্লামেন্ট উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। তাই আমাদের দল থেকে বা আমাদের দলের খুব একটা সুন্দর টিম আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। মানুষজনের সামনে আমরা কোনো দলের প্রতিনিধি চাপিয়ে দিতে চাই না, জনগণের প্রতিনিধি দিতে চাই।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে একটি দল নিজস্ব কিছু ব্যক্তিকে মানুষের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এই দুর্বৃত্তায়ন ভাঙতে চাই। আমরা এই টপ টু ডাউন নয়, ডাউন টু টপ সিস্টেমে যেতে চাই। অর্থাৎ সরকার এবং জনগণের মধ্যে যে পার্লামেন্ট রয়েছে, এই পার্লামেন্ট হাউজে আমরা জনগণের প্রতিনিধি পাঠাতে চাই। কোনো দলীয় প্রতিনিধি পাঠাতে চাই না।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা একটি সুন্দর ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদ লাগবে। কিন্তু এর পূর্বে আমরা বলেছিলাম যে তারা কোন প্রক্রিয়া চালাবে। গত ৫০ বছরে যে ভিত্তিতে চালিয়েছিল, ভিত্তিমূলটা অনেক দুর্বল ছিল। ওই ভিত্তিমূল ছিল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি। একদলীয় শাসন বাকশাল থেকে শুরু করে অসংখ্য (দুর্বলতা), যেগুলো বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার যাত্রা আমরা দেখেছিলাম।”
এনসিপি’র এই নেতা বলেন, “আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করব। যেই নতুন বাংলাদেশের মধ্যে এই ধরনের কার্যকলাপ আর প্রত্যক্ষ করব না। সেই জায়গা থেকে সংস্কার ও ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছিল। ঐকমত্য কমিশনে ৩০টির অধিক দল মিলে তারা একটা পর্যায়ে এসেছে, একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সুপারিশমালা দিয়েছে। সেটার উপরে সরকার একটি আদেশ জারি করার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে জামায়াত এবং বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ, এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, হুমায়রা নূর, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার এবং জতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম।
ঢাকা/রায়হান/এস