হবিগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। তিনি কুষ্টিয়া জেলায় ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন। তবে হবিগঞ্জের বর্তমান জেলা প্রশাসক ড.

মো. ফরিদুর রহমানকে কোথায় বদলি করা হয়েছে তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেথ করা হয়নি।

আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বিসিএস ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। মাত্র তিনমাস আগে তিনি কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেছিলেন।

ঢাকা/মামুন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না: আসিফ নজরুল

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকায় ৮ দলের মহাসমাবেশ ১১ নভেম্বর

নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের দেশে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই হারিয়ে গেছে। অনেক মানুষের বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারেননি—এটা কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যেখানে যাই, পোস্টার দেখতে পাচ্ছি, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর কিংবা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে, আবার কিছু মন্তব্য হয়তো আন্তরিকভাবেও আসে। সবকিছু মিলিয়ে অনেকে ভাবেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত করার মতো কোনো ইস্যু নেই। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। কোনো বিকল্প চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে—এই প্রশ্ন আমাদের মাথায় নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।”

আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না—পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে সেটার ওপরও নির্ভর করে। যদি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় বা কণ্ঠ শনাক্ত হয়, তাহলে ব্যতিক্রম হতে পারে। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্যতা আছে, সেখানে জামিন পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, যারা জামিন পেয়ে একই অপরাধ পুনরায় করতে পারে বা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হয়ে সক্রিয় থাকতে পারে—তাদের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক থাকব।”

তিনি বলেন, “একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এর সুফল অবশ্যই জনগণ পাবেন।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ