যুক্তরাষ্ট্র এখনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। তবে শুধু র‍্যাঙ্কিং বা কোর্স নয়, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—কোন শহরে পড়বেন?

নিউইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো জনবহুল শহর থেকে শুরু করে অ্যান আরবার বা বোল্ডারের মতো ছোট কলেজ টাউন—প্রতিটি জায়গার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার গন্তব্য বেছে নিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ‘থ্রি–সি’র। এগুলো হলো ‘সম্প্রদায় বা কমিউনিটির আকার, সংস্কৃতি ও জলবায়ু।

১.

কমিউনিটির আকার: বড় শহর নাকি ছোট কলেজ টাউন

যুক্তরাষ্ট্র বিশাল ও বৈচিত্র্যময়। বড় শহরগুলোতে পাওয়া যায় নানা সংস্কৃতির মিলন, বৈচিত্র্যময় খাবার এবং পেশাগত নেটওয়ার্ক ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এখানে নিজের দেশের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় কমিউনিটি খুঁজে পাওয়া সহজ, যা প্রবাসজীবনে মানসিক সহায়তা দেয়। তবে বড় শহরে বসবাসের খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।

অন্যদিকে ছোট শহর বা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক কলেজ টাউনগুলো সাধারণত সাশ্রয়ী ও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এসব জায়গায় সবকিছু ঘুরেফিরে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই থাকে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

ফাইল ছবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মেসির জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টের রেকর্ড, প্রথমবার সেমিফাইনালে মায়ামি

প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ প্লে-অফের কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। আজ ‘বেষ্ট অব থ্রি সিরিজের’ প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে নাশভিলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি। এই জয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি, সহায়তা করেছেন আরেকটিতে।

এর আগে ‘বেষ্ট অব থ্রি সিরিজের’ প্রথম ম্যাচে মায়ামি জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল নাশভিল। আজকের তৃতীয় ম্যাচ তাই দুই দলের জন্যই ছিল ‘বাঁচা-মরার’। নাশভিলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়ে মায়ামি এখন কনফারেন্স সেমিফাইনাল খেলবে এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে।

চেজ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে ইন্টার মায়ামি প্রথম এগিয়ে যায় ১০ মিনিটে। প্রায় মাঝমাঠে নাশভিলের কোরকোরানের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান মেসি। সেই বল টেনে নিয়ে বক্সে ঢোকার আগমুহূর্তে মেসি চার ডিফেন্ডারের জটলার ভেতর থেকে শট নেন, বল যায় জালে।

৩৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসিই। জর্দি আলবার লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে সিলভেত্তি নাশভিল বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে ব্যাক পাসে বল পাঠান পেছনে। প্রায় অরক্ষিত মেসির বক্সের বাইরে থেকে বল জালে পাঠাতে তেমন কষ্টই করতে হয়নি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মায়ামির দুই গোলই করেছেন আলেন্দে। ৭৩ মিনিটে জর্দি আলবা মেসির সঙ্গে বদ দেওয়া-নেওয়া করে টাচলাইনের কাছাকাছি চলে যান। এরপর ব্যাক পাসে বল জালের মুখে পাঠালে সহজেই গোল করেন আলেন্দে। দুই মিনিট পরই আলেন্দে পান মেসির সহায়তা। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চিপ করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান আলেন্দে। এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪০০তম অ্যাসিস্ট। পেশাদার ফুটবলে যা প্রথম।

ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শের রাতে মেসি বেশি খুশি হওয়ার কথা দলের অর্জনে। গত বছর এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড জিতলেও প্লে-অফের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছিলেন। এবার সেই ধাপ উতরে এখন কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার অপেক্ষা।
কনফারেন্স ফাইনালে ওঠার সেই লড়াই হতে পারে ২২ বা ২৩ নভেম্বর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ