আবারো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে ফিলিপাইন
Published: 9th, November 2025 GMT
সুপার টাইফুন ‘কালমেগির’ আঘাতে বিপর্যস্ত ফিলিপাইনে ফের আঘাত হানতে যাচ্ছে আরেকটি সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’। আজ রবিবার দিন শেষে এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে ১ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারো ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে লুজন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত ৫ জারি করা হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলা ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে ৩ নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ১১৪, জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় মন্থা, বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
সুপার টাইফুন ফাং-ওয়ং বর্তমানে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার (স্থিতিশীল বাতাস) এবং ২৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাস নিয়ে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার রাতেই এটি মধ্য লুজনের অরোরা প্রদেশে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
ফিলিপাইন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ৩০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, লুজনের উপকূলের কাছে অবস্থিত ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপ রবিববার সকাল থেকেই ঝড়ের কবলে পড়েছে।
টাইফুন ফাং-ওয়ং, কালমেগি নামে একটি পূর্ববর্তী ঝড়ের কয়েকদিন পরেই দেশটিতে আঘাত হানতে যাচ্ছে। কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে প্রায় ২০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পাগাসার একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে শুরু করেছে।
যদিও দেশের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে কাতানডুয়ানেসসহ সরাসরি আঘাত হানতে পারে এমন এলাকাগুলো নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে।
ফিলিপাইন সরকার এই বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমেগির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
গত সপ্তাহে টাইফুন কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে কমপক্ষে ২০৪ জন মারা গেছে এবং ১০০ জনেরও বেশি এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
টাইফুন কালমেগির পর এবং আসন্ন ঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে ফিলিপাইন সরকার দেশজুড়ে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছে।
ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি, কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত, যেখানে এই ধরনের আবহাওয়া ব্যবস্থা তৈরি হয়।
প্রতি বছর এই অঞ্চলে প্রায় ২০টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, যার অর্ধেক সরাসরি দেশটিকে প্রভাবিত করে থাকে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘ র ণ ঝড় ঘ র ণ ঝড় র ফ ল প ইন
এছাড়াও পড়ুন:
একঝলক (৯ নভেম্বর’২০২৫)
ছবি: সুপ্রিয় চাকমা