প্রথম আলো:

অভিনেতা থেকে পরিচালনায় কোন ভাবনা থেকে এসেছিলেন?

অনির্বাণ ভট্টাচার্য : অভিনেতা থেকে পরিচালনায় এসেছিলাম দুটি কারণে। এক, মহামারি আর দুই হচ্ছে, শ্রীকান্ত মোহতা ও মহেন্দ্র সনি স্পেশালি মনিদা (মহেন্দ্র সনি)। কারণ, করোনার সময় আমরা সবাই বাড়িতে বসেছিলাম তখন মনিদা আমাকে ইনসিস্ট করেন। বলেন, ‘এখন তো ফ্রি টাইম বাড়িতে বসে আছ, লেটস ডু সামথিং নিউ। কিছু একটা ডেভেলপ করো, আমরা যেটা করতে পারি।’ প্রথমে পরিচালনা নিয়ে কথা হয়নি। তখন আমি ও প্রতীক ম্যাকবেথের একটা অ্যাডাপ্টেশন করি ‘মন্দার’। পরে এসভিএফে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করলে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু তখনো পরিচালনা নিয়ে প্ল্যান হয়নি। আমরা অন্যান্য পরিচালকের কথা ভাবতে থাকি। কিন্তু যত দিন যায় মনিদা বলতে থাকে, ‘তোমরাই যেহেতু এটা নিয়ে ভেবেছ-লিখেছ তোমরাই এক্সিকিউট করতে পারবে ঠিকঠাক।’ আমার আসলে কোনো প্ল্যান ছিল না পরিচালনা করার। তবে কাজটা করে খুব মজা পেয়েছি। তারপর মনে হয়েছে পরিচালনার কাজটা আরেকটু করাই যায়। সেখান থেকে আরেকটা সিনেমা পরিচালনা করার কথা হয়েছিল শ্রীকান্তদার সঙ্গে সেটা হলো ‘বল্লভপুরের রূপকথা’।

আরও পড়ুনঅভিনয়ে আর ডাক পান না অনির্বাণ! তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে২৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রথম আলো :

আপনার পরিচালিত কাজে একটা ভূত-যোগ থাকে; সারা দুনিয়ায় এখন হরর সিনেমা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে.

..

অনির্বাণ ভট্টাচার্য : আমি একটা ওয়েব সিরিজ ও একটা সিনেমা পরিচালনা করেছি। ‘মন্দার’-এ কোনো ভূতের ব্যাপার নেই। যদিও সেখানে উইচ (ডাইনি) আছে, সেটা শেক্‌সপিয়ার লিখে গেছেন। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’-তে হরর ঠিক বলব না ভৌতিক একটা ব্যাপার আছে, বাংলার মতো করে। আর এ ছাড়া আমি যেসব কাজে সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে ছিলাম ‘অথৈ’, ‘তালমার রোমিও জুলিয়েট’, ‘ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল’, ‘ভূত্তেরিকি’ উল্লেখযোগ্য। শেষের কনটেন্টটাতে আবার ওই হরর নয়, মজা করে ভৌতিক একটা যোগ আছে। এখন ভারতবর্ষেও বিশেষ করে ‘স্ত্রী’ ফ্র্যাঞ্চাইজি হিট হওয়ার পর হরর ইউনিভার্সগুলো তৈরি হচ্ছে। সেখানে ওয়ার উলফ, ভ্যাম্পায়ার, ভূত—সবই আছে। আমি নিজে হলিউড হররের খুব ফ্যান নই। ‘কনজুরিং’ বা মাইকেল ফ্যালাগান; সাম্প্রতিক সময়ে হররের মাধ্যমে যে ধরনের দারুণ দারুণ গল্প বলা হচ্ছে, সেগুলো খুব ভালো লাগে। এ ছাড়া কোরিয়ান হরর, জাপানিজ হরর, দর্শক হিসেবে আমার হররের ওপর একটা ঝোঁক আছে। তবে আমাদের এখানে যেটা হয়, আমি সেটার খুব একটা পক্ষপাতী নই। সব রকম কনটেন্ট থাকাই ভালো আর কী। প্রেমের গল্পও হবে, থ্রিলারও হবে, একদম ট্র্যাজেডিও হবে, ভূতও হবে। ভয়ের ভূত হবে, মজার ভূতও হবে। বৈচিত্র্য থাকলে মানুষের সেটার প্রতি আগ্রহটা থাকে।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘সম্পর্ক দু’মিনিটে তৈরি হওয়া নুডলস নয়’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। তার একমাত্র কন‌্যা কোয়েল মল্লিকও টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ। ব‌্যক্তিগত জীবনে প্রযোজক নিসপাল সিং রানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করলেও ভালোবেসে সংসার বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন এই যুগল। 

শোবিজ অঙ্গনের তারকারা প্রেম জীবন নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন। তবে কোয়েল মল্লিকের ব্যাপারে ঠিক তেমনটা বলা যায় না। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ আলাপচারিতায় নতুন প্রজন্মকে ‘ডেটিং টিপস’ দিয়েছেন কোয়েল। 

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে জিতু কমল

জুবিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য

কোয়েল মল্লিক বলেন, “সম্পর্ক দু’মিনিটে তৈরি হওয়া নুডলস নয়। এরকম নয় যে, প্রতিটা সময়, প্রতিটা মুহূর্ত খুব সুন্দর হবে, খুব খুশির হবে বা হ্যাপেনিং হবে। একটা সম্পর্ক মানে একটা কথা দেওয়া, কমিটমেন্ট। সেই কমিটমেন্টের মধ্যে একটা পবিত্রতা থাকে, একটা লয়ালটি থাকে।” 

উদাহরণ টেনে কোয়েল মল্লিক বলেন, “তাই জামা-কাপড় বদলানোর মতো এটা ভালো লাগছে না, তো ওটা। লাল জামাটা অনেক দিন পরা হয়েছে আর ভালো লাগছে না, তো নীল জামাটা পরি, সম্পর্ক বিষয়টা কিন্তু সে রকম নয়। আমি হয়তো একটু পুরোনোপন্থি। কিন্তু আমি এভাবেই ভালোবাসতে ভালোবাসি।” 

কোয়েল মল্লিকের এসব বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যল মিডিয়ায়। তারি ভাবনাকে সমর্থন জানিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, “একদম সঠিক কথা।” অন্যজন লেখেন, “তুমি ওভাবে ভালোবাসতে ভালোবাসো, আর তাই আমরা তোমাকে সব সময় ভালোবাসি।” আরেক ভক্ত লেখেন, “অনেক কারণেই তুমি টলি-কুইন।” 

২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রযোজক নিসপাল সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কোয়েল মল্লিক। ২০২০ সালের ৫ মে অর্থাৎ বিয়ের সাত বছর পর এ দম্পতির সংসার আলো করে আসে পুত্র কবীর। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর কন্যাসন্তানের মা হন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ