কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন
Published: 9th, November 2025 GMT
রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।
২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।
বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।
আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’
গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’
গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।
খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকুরের শততম টেস্ট নিয়ে আশরাফুলের উচ্ছ্বাস
মোহাম্মদ আশরাফুলই হতে পারতেন বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। হননি। গলে ১৯০ রানে আউট হয়ে মুশফিকুর রহিমকে নিজের হাতে সুযোগটি দিয়ে আসেন। মুশফিকুর পরবর্তীতে হয়ে যান বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান।
এরপর আরো দুইটি ডাবল হাঁকিয়েছেন তিনি। সেই মুশফিকুর এবার প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে। নিজের ক্যারিয়ার ঠিকঠাক গোছালে আশরাফুলও হয়তো এই রেকর্ডে সবার আগে নিজের নাম তুলতে পারতেন। পারেননি। তবে যিনি পারছেন তার জন্য দারুণ খুশি আশরাফুল।
আরো পড়ুন:
লর্ডসে প্রথম, মিরপুরে শততম টেস্ট মুশফিকুর
মুশফিকের সামনে ঐতিহাসিক মাইলফলক
২০০৫ সালে লর্ডসে মুশফিকুরের অভিষেক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে শততম টেস্ট খেলবেন তিনি। লর্ডসের ড্রেসিংরুমে মুশফিকুরের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছিলেন আশরাফুল। মুশফিকুরের বড় মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে আশরাফুলও থাকবেন ড্রেসিংরুমে। সতীর্থ নয়, এবার আশরাফুল কোচের ভূমিকায়।
আয়ারল্যান্ড সিরিজে আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। মুশফিকুরের মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারায় উচ্ছ্বসিত আশরাফুল, ‘‘আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি, আল্লাহ আমাকে এমন সময়ে এই সুযোগটি করে দিয়েছেন। মুশফিকুরের অভিষেক ম্যাচে আমি ড্রেসিংরুমে ছিলাম লর্ডসে। এখানে ৯৯ ও ১০০তম টেস্টেও আমি থাকবো।’’
‘‘মুশফিকুর রহিম একমাত্র ক্রিকেটার যার শৃঙ্খলতা ছিল বলেই ২০ বছর ধরে খেলছেন। আমার ব্যক্তিগত মতামত, বাংলাদেশের সামনে এবং ভবিষ্যতে যারা খেলবে তারা যদি মুশফিকুরকে রোল মডেল হিসেবে ধরে এবং দেখা উচিত…সে কিভাবে এই জায়গাতে এসেছেন, শুধুমাত্র একটা কারণে শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা কী হতে পারে..খাবার, ঘুমানো, অনুশীলন…এই জিনিসগুলো যদি সঠিকভাবে করেন জীবনে তাহলে এই জিনিসটা সম্ভব।’’ - মুশফিকুরের প্রশংসা করে বলেন আশরাফুল।
‘‘মুশফিকুর বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার একশতম টেস্ট খেলবে এটা বিরাট গর্বের বিষয়। একটা ফরম্যাট নয়, তিনটিতেই সে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলেছেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। তিনটা ডাবল সেঞ্চুরি আছে তার। ২০১৩ সালের পর সেঞ্চুরি করলেই বোঝা যায় সে বড় বড় ইনিংস খেলে। আয়ারল্যান্ড সিরিজেও যদি স্টার্ট পায় তাহলে সে বড় করবে। এটাই আশা থাকবে। ভালো ফর্মেও আছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় ইনিংসে হানড্রেড করেছে।’’
প্রশ্ন উঠেছিল, এমন ক্রিকেটারের জন্য একটি স্ট্যান্ড কিংবা আরো কিছু করা যেত কি না? আশরাফুল বলেছেন, ‘‘অবশ্যই যারা আমাদের কিংবদন্তি তাদের জন্য শুধু স্ট্যান্ড না, অনেক কিছুই করা সম্ভব।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল