ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটি) অনুষদের শিক্ষার্থীদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) এবং শিক্ষকদের পাঁচ বছরের (২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সাল) ডিনস অ্যাওয়ার্ড ৬ নভেম্বর প্রদান করা হয়েছে। অনুষদের পাঁচটি বিভাগের মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এ ছাড়া দেশে বা বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ৩০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের সাবেক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান ডিনস অ্যাওয়ার্ডে স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবির।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’৫ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৪৪ জন শিক্ষার্থী হলেন-

জগন্নাথ বিশ্বাস, মো.

নিজাম উদ্দিন তানিম, শ্রাবণী সরকার, নাজমুল হাসান নাঈম, আফসানা আনজুম আঁখি, নুসাইবা এহসান, আসমা ইয়াসমিন খান রিমু, মেহরিন ফাত্তাহা, কায়সারী ফেরদৌস, মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), নিশাত তামান্না আদিবা, এহসানুল হক, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. আহসানুল হক মামুন, মো. আবদুল হাসনাত, সাহাল জুবায়ের, তাইমিমা মাহবুব, ফাইরুজ তাহিয়া, ফাতেমা-তুজ-জহুরা (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), মো. আমিনুল কাদের বুলবুল, শাবাব মুর্শেদ, রাহিব হাসান, জহির সাদিক মনন, তাহমিদ মোসাদ্দেক, মহিদুল হক মৃদুল, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মাবসুর ফাতিন বিন হোসাইন, ইত্তেহাদ সালেহ চৌধুরী, সৌমিক শাফকাত অভ্র (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল), এইচ রাইনাদ খান রোহান, কে এম সৌরভ, মো. নবীর হোসেন, মো. ফাহিম ফরায়েজি, তাসফিয়া রহমান রিভা, মাহমুদুল হাসান তামিম, জেরিন তাহসিন আনজুম, তাসনুভা তামিসা অর্পি, ফারহান লাবিব অর্ণব (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মিকদাম-আল-মাদ রৌন, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, হুমায়রা রশিদ, সানিয়া কায়েনাত চৌধুরী, মো. এহতেশামুল হক, আতিক তাজওয়ার (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং)।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু৩ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষক হলেন

অধ্যাপক মো. আবদুর রাজ্জাক (২০২১, ২০২৩, ২০২৫), মো. তানভীর আলম (২০২৪) (কম্পিউটার বিজ্ঞান অ্যান্ড প্রকৌশল), আবুল খায়ের মল্লিক (২০২১, ২০২৩), অধ্যাপক মো. নুরনবী (২০২৪), তাসলিম উর রশিদ (২০২২, ২০২৩), অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা (২০২৪), সাদিত বিহঙ্গ মালিথা (২০২১) (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), সেঁজুতি রহমান (২০২১, ২০২৩, ২০২৪) (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. আরিফুল ইসলাম (২০২৩), মো. সিফাত-ই- আরমান ভূঁইয়া (২০২৩, ২০২৫), মো. মেহেদী হাসান (২০২৪), মো. হোসাইন শাহাদাত (২০২১), অনিমেষ পাল (২০২১, ২০২৫), অধ্যাপক আফরোজা শেলি (২০২২, ২০২৫) (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মাইনুল হোসেন (২০২২, ২০২৪, ২০২৫), শেখ মো. মাহমুদুল ইসলাম (২০২২, ২০২৩), মো. আহসান হাবীব (২০২৫), ইমতিয়াজ আহমেদ (২০২৪) (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।’

আরও পড়ুনপ্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-গণিত: প্রশ্ন নম্বর-৩০৮ নভেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন শ ক ষ ল ইসল ম প রক শ আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ

২০২২ সালে তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আফিমের পরিমাণ ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। আফগানিস্তানের আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ ছিল।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তালেবান ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা কৃষকদের জানায়, আফিম ক্ষতিকারক এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। বর্তমানে অনেক আফগান কৃষক শস্য চাষ করছেন।

লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উপলব্ধ কৃষিজমির ৪০ শতাংশেরও বেশি পতিত রয়ে গেছে। চলতি বছর আফিম পপি চাষের আওতাভুক্ত মোট জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর বলে অনুমান করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে, আফগানিস্তানে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হত।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়
  • ভারতের মথ ডাল এ দেশে এসে মুগ ডাল হয়ে যাচ্ছে কেন
  • বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের মাস্ক কি সত্যিই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন
  • নতুন সংঘাতের পর পাকিস্তান–আফগানিস্তানের মধ্যে আলোচনায় আবারও অচলাবস্থা
  • ডেঙ্গু সংক্রমণের সময় বদলাচ্ছে, বেড়েছে নভেম্বরে, কারণ কী
  • ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জ
  • বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় ডুবল নৌকা, ছিলেন জগন্নাথের ১৫ শিক্ষার্থী
  • ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
  • তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ