সিলেটে আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার
Published: 9th, November 2025 GMT
সিলেটে কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এই চারজন হলেন সিলেট মহানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য মো. ওমর ফারুক (২৪), সিলেট নগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান (৪০), ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জয়নাল আহমেদ (৫২) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আবদুর রশিদ (৩৯)।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় নিষিদ্ধ–ঘোষিত ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করে। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সুবিদবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মো.
এদিকে শুক্রবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবু সুফিয়ানকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সেখান থেকে তাঁকে সিলেট কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার জালালাবাদ থানার পনিটুলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে জালালাবাদ থানা-পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর শ ক রব র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে দুই পক্ষের মিছিল-উত্তেজনা, আটক ৩
সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাশকতার আশঙ্কায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুরের শুভংকর ঘোষ (৪০), কাশিবাটির আবদুল মান্নান সরদার (২৩) ও বাটরার আল মামুন (২৩)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে ফুলতলায় মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একই সময় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী শহিদুল আলমের সমর্থকেরা কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
গতকাল রাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, একদল নাশকতাকারী বিপুল পরিমাণ লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল, গুলতি, লোহার বল, ধারালো অস্ত্রসহ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল দ্রুত ফুলতলা এলাকায় অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন অস্ত্র ও লোহার টুকরা পাশের নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে সেনাসদস্যরা চারজনকে আটক করেন ও চারটি গাড়ি (একটি মিনি ট্রাক ও তিনটি পিকআপ ভ্যান) জব্দ করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাঠি, ইটপাটকেল, গুলতি, লোহার পাইপ ও ধারালো লোহার টুকরা। পরে পুলিশ এক তরুণকে তাঁর বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দীনের ছেলে কাজী সাজিদ রহমানের দাবি, ‘মনোনয়ন না পাওয়া শহিদুল আলমের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা করার উদ্দেশ্যে এসব লাঠিসোঁটা নিয়ে এসেছিলেন।’
এ বিষয়ে শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি শুনেছি কিছু মানুষ কাজী আলাউদ্দিনকে বয়কট করার জন্য কালো পতাকা নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। আমার কর্মী-সমর্থকেরা কেউ লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনী গতকাল রাত ১০টার দিকে চারজনকে থানায় সোপর্দ করে। আটক চারজনই পিকআপচালক। তাঁদের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁকে তাঁর বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনকে আজ শুক্রবার সকালে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট মামলা দেওয়া হয়নি।