আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচাতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। বাংলাদেশ জিতলে সিরিজে সমতা ফিরবে। হারলেই সিরিজ হাতছাড়া।

এমন সমীকরণে মাঠে নেমে বোলাররা আফগানিস্তানকে ২০৮ রানে আটকে রেখে নিজেদের কাজটা করে রাখলেন। কিন্তু সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা ভুগলেন। রান পেতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাদেরকে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন সালিম

শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান

দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখলেন অধিনায়ক আজিজুল। দৃঢ়চেতা ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। তাতে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ শেষ মুহূর্তে জেতে বাংলাদেশ সিরিজ পরাজয় এড়িয়েছে। ৪৫.

৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ২ উইকেট হাতে রেখে।

ম্যাচ জয়ের নায়ক আজিজুল ১১৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১০০ রান করেন। জয়ের থেকে ২ রান দূরে থাকতে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ত্রিশের ঘর পেরোতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন রিজান হোসেন। এছাড়া ফরিদ হাসান ফয়সাল ২৩ রান করেন। শেষ দিকে শাহরিয়ার আল আমিনের ১৭ রানে জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়। তার আগে ৩ বাউন্ডারিতে আজিজুল আত্মবিশ্বাস পান সেঞ্চুরির। নব্বইয়ের ঘরে ঢুকে প্রথমে কাভারের ওপর দিয়ে চার হাঁকান তিনি। পরের বল পুল করে মিড উইকেট দিয়ে উড়ান ছক্কা। দুজনের অষ্টম উইকেটে ৩৫ বলে ৪৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

এর আগে আফগানিস্তানের ইনিংসে একমাত্র ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন ওসমান সাদাত। ১০৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করেন। এছাড়া মাববুব খান ৪০, উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইমুন বশির রাতুল ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন সাদ, শাহরিয়া ও শাহরিয়ার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ আফগ ন স ত ন র ন কর ন আজ জ ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসিফ মাহমুদ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে ঢাকা-১০ আসনে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা  বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘ঢাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নেব এটা এখন প্রায় নিশ্চিত। তাই নিজের ভোটটাও ঢাকায় স্থানান্তর করছি, যেন ভোটটা অপচয় না হয়। যদিও আগে ভোটার হয়েছি, কিন্তু কখনো ভোট দিতে পারিনি। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এবার অন্তত নিজের ভোটটি দিতে পারব, এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’’

তিনি আরও জানান, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঢাকাতেই নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। 

পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। পরে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

সাংবাদিকরা জানতে চান, বিএনপি কি তার জন্য কোনো আসন ফাঁকা রাখছে বা কোনো ধরনের আলোচনা চলছে কি না। জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘আমার কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। কে আসন ফাঁকা রাখলো বা না রাখলো সেটা আমার জানার বিষয় নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্ত, এককভাবেই নির্বাচন করবো।’’

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ