পুলিশ দেখে শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে লাফ, আওয়ামী লীগ নেতা আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার
Published: 13th, November 2025 GMT
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। তবে শেষ রক্ষা আর হয়নি। সেখানে পুলিশ দেখে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে লাফিয়ে আহত হলে গতকাল বুধবার গভীর রাতে তাঁকে ওই অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আমজাদ হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের ‘কাছের লোক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধার ছোট ভাই।
আমজাদ ছাড়া গতকাল আওয়ামী লীগের আরেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হলেন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র সাহা। তাঁদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগে মামলা আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমজাদ হোসেনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালালে তিনি ভয়ে লাফ দেন। এতে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বছর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন আমজাদ। তবে কিছুদিন ধরে তিনি এলাকায় ফিরে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতেন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন ঘোষণার পর পুলিশ ধরপাকড় করতে পারে, এমন আশঙ্কায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একই উপজেলার সোনাডাঙ্গা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন। গতকাল রাতের খাবার খেয়ে শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি একতলা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরু করলে আমজাদ ছাদ থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে নিচে পড়ে তিনি পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান। পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে সেখান থেকে আহত অবস্থায় আমজাদকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, আমজাদ ও কার্তিকের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের দিনে দাঙ্গা–হাঙ্গামার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া যুবদল নেতা মুনছুর রহমানের পায়ে গুলি করার অভিযোগ আছে। তাঁদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ আমজ দ আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণের মাধ্যমে জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রশাসন নীরব থাকতে পারে না: গয়েশ্বর
পঞ্চগড়ে জামায়াতে যোগ দিলেন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩২ জন
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ নতুন ধারণা। ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি।”
এর আগে দুপুরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আদেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সনদের সংবিধান বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবণার ওপর গণভোট ও পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। এরপর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচনে পাওয়া ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত হবে।”
এছাড়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান ড. ইউনূস।
বিএনপিও নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে জামায়াতসহ ৮টি দল নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়েছিল।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ