ঋণ ও অনুদান বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 29th, January 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সব ধরনের ফেডারেল অনুদান এবং ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন সহায়তা, দুর্যোগ ও ত্রাণ এবং অন্যান্য বহু প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’ এর (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
ম্যাথিউ ভেথ জানান, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনার জন্য এই স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মধ্যে বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভেথ এই অফিস আদেশে আরও উল্লেখ করেন, যেসব নীতি প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার বিপরীত, সেগুলোর জন্য ফেডারেল সম্পদের ব্যবহার করদাতাদের অর্থের অপচয় এবং জনকল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখে না। তাই এসব অনুদান এবং ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অফিস আদেশে দাবি করা হয়েছে, ফেডারেল সরকার ২০২৪ অর্থবছরে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। যার মধ্যে ৩ ট্রিলিয়নের বেশি অনুদান ও ঋণ গেছে আর্থিক সহায়তা হিসেবে। কিন্তু কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও) ২০২৪ সালে তাদের সরকারি ব্যয় দেখিয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এ থেকে বোঝা যায়, ওএমবি আর সিবিওর হিসাবে অনেক গরমিল আছে। এই বিষয়টির স্পষ্টিকরণ প্রয়োজন।
এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সহায়তা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বরাদ্দও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বা চিকিৎসা সেবার অর্থ, খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো ব্যক্তিগত সহায়তা এই নির্দেশের বাইরে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ডেমোক্র্যাটরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসম্যান রোজ ডিলাউরো এই সিদ্ধান্তকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর এবং অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা ‘কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ’ আটকে রাখার এই বিষয়টিকে সংবিধানের লঙ্ঘনও বলছেন।
সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এক্স হ্যান্ডলে সতর্ক করে বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ যদি কার্যকর হয়, তবে এটি কোটি কোটি আমেরিকানের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটস–এর প্রধান ডায়ান ইয়েনটেল বলেছেন, যদি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যও এই অর্থায়ন স্থগিত রাখা হয়, তবে শিশুদের ক্যানসারের গবেষণা থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা, পারিবারিক সহিংসতা–সুরক্ষা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের হটলাইনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৪ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। লভ্যাংশ প্রদানে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ জুন।
সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.০৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.৪৩ টাকা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১.৭৯ টাকা।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা