দুই প্রকল্পে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক
Published: 24th, April 2025 GMT
বে টার্মিনাল নির্মাণ ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিশ্ব ব্যাংক ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মধ্যে পৃথক দুটি চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো.
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় বিশ্ব ব্যাংক বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে। এছাড়া, সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ. মার্টিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করা জরুরি।
তিনি বলেন, “এই অর্থায়ন প্যাকেজটি বাণিজ্য ও রপ্তানি প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি গেম চেঞ্জার হবে। সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামের মাধ্যমে সবচেয়ে দুর্বল স্নাতকদের সাহায্য করবে এবং চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করবে।”
বে টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়াবে। এটি ছয় কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার, অ্যাক্সেস চ্যানেলসহ বন্দর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পগুলো জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা/হাসনাত/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া