৭২ এর সংবিধান বাতিল করে নতুন জনগণতান্ত্রিক সংবিধান বাস্তবায়নের ভ্যানগার্ড দল হিসেবে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ছাত্র-জনতার প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নতুন দলকে গড়ে তুলতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী লিডারশিপ ট্রেনিং করেছে দলটির নেতৃবৃন্দ।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, দেশের শীর্ষ সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড.

মাইমুল আহসান খান, ক্যারিয়ার কোচ জামাল উদ্দীন জামী ও রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং গবেষক জাকারিয়া পলাশ।

অনুষ্ঠানে ড. মাইমুল আহসান নতুন সংবিধান প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নেতৃবৃন্দকে এজন্য গণপরিষদ গঠনের ওপর গুরত্বারোপ করতে বলেন। তিনি গণপরিষদ গঠন করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি তুলে ধরেন। 

দেশের প্রধান দলে পরিণত হতে মূল্যবোধ, গণআস্থা ও নীতির প্রতি অবিচল থাকার সমন্বয়ে ব্র্যান্ডিং করার প্রশিক্ষণ দেন রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং গবেষক জাকারিয়া পলাশ। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল মূলত জনগণের কাছে মূল্যবোধ, রূপকল্প, স্বপ্ন, সুখ, সুশাসন ও ক্ষমতার কথা প্রচার করে। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। অন্যদিকে, সদ্য সাম্প্রতিক দল হিসেবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ পরীক্ষামূলক অবস্থানে আছে।”

জনপ্রিয় ক্যারিয়ার কোচ জামাল উদ্দীন জামী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ের দুইদিন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দকে হাতে কলমে নেতৃত্বের বিভিন্ন স্কিল শেখান। এর মধ্যে রয়েছে কিভাবে নেতারা গভীরভাবে ভাববেন বা ক্রিটিক্যাল থিংকিং করবেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক বয়ান ন্যারেটিভের সমালোচনা করবেন এবং নিজস্ব ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করবেন।

এছাড়া কিভাবে জনগণের সামনে দলকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে, দলে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং যেকোন উদ্ভূত সঙ্কট চিহ্নিত করে, তা দ্রুত সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে সমাধান করতে হবে; তাও নেতাদের শেখানো হয়।

সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান।

এতে অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক রাবেয়া আক্তার, সহকারী সদস্য সচিব সাইয়েদ কুতুব, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, গালীব ইহসান, ডা. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য বায়োজিদ বোস্তামি ও খালিদ হোসাইন।

এছাড়া অংশগ্রহণ করেন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. নাবিল আহমদ, নেছার আহমেদ তুহিন ও সহকারী সদস্য সচিব জাকারিয়া কামাল, সদস্য মুস্তাকিম বিল্লাহ্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম-আহ্বায়ক নিয়াজ আহমদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমেদ আলী প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক ত ক দল

এছাড়াও পড়ুন:

১০ হাজার বছর আগের এক নারীর প্রতিকৃতি বানালেন গবেষকেরা

বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও শিল্পের সম্মিলনে তৈরি করা হয়েছে মেসোলিথিক বা মধ্য প্রস্তরযুগের এক নারীর মুখের প্রতিকৃতি। প্রায় ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে বাস করা মোসঅ্যান নামের ওই নারীর মুখাবয়বে বসানো উজ্জ্বল নীল চোখ ও কিছুটা শঙ্কিত দৃষ্টি আজও বিস্ময় জাগায়।

এই গবেষণামূলক প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল ইউরোপের শেষ শিকারি বা সংগ্রাহকদের জীবনধারা অন্বেষণ করা। প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা এই প্রতিকৃতি আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পীর নিপুণ দক্ষতায় মোসঅ্যানকে নতুন প্রাণ দিয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ইসাবেল ডে গ্রোত বলেন, ‘এই প্রকল্পের একটি অংশ হলো মানুষের জেনেটিক গঠন বোঝা, তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ধারণ এবং আমরা যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করছি, তা বৃহত্তর জনগণের কাছে সহজভাবে তুলে ধরা।’

বিজ্ঞানীরা যে খুলি থেকে প্রতিকৃতি পুনর্গঠন করেছেন, সেটি ছিল অসাধারণভাবে সংরক্ষিত। জনগণের ভোটে নাম রাখা হয় ‘মোসঅ্যান’। এ নাম রাখা হয়েছে বেলজিয়ামের মিউস উপত্যকার নামানুসারে। এই খুলিতে প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষিত ডিএনএ ছিল, যার ফলে ওই নারীর মুখাবয়বকে অত্যন্ত বাস্তবসম্মতভাবে পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর বয়স ছিল ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

গবেষক ইসাবেল বলেন, মেসোলিথিক যুগে এই নারী ছিলেন পশ্চিম ইউরোপের শিকারি-সংগ্রাহক জনগোষ্ঠীর অংশ। জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকেরা ওই নারীর ত্বকের রং ও চোখের রং বের করতে সক্ষম হন। তিনি আরও বলেন, এই জনগোষ্ঠীকে চেনা যায় তাদের গাঢ় ত্বক ও নীল চোখের জন্য—যেমন ছিল যুক্তরাজ্যের চেডার ম্যানের। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী চেডার ম্যানের কঙ্কাল ১৯০৩ সালে আবিষ্কৃত হয়।

মোসঅ্যানের ডিএনএ তাঁর চেহারা সম্পর্কে মূল্যবান কিছু সূত্র দিয়েছে। তবে তাঁকে জীবন্ত করে তুলেছে নেদারল্যান্ডসের শিল্পী আলফন্স ও অ্যাডরি কেনিস নামের যমজ দুই ভাইয়ের অনন্য দক্ষতা।

গবেষকদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর তাঁরা কাজ শুরু করেন। খুলির ছাঁচ তৈরি থেকে শুরু করে মাটির মডেলিংয়ে শেষ পর্যায়ের সাজসজ্জা, প্রতিটি মুখের পেশি অঙ্গভঙ্গি নিখুঁতভাবে গড়ে তোলেন তাঁরা। আলফন্স কেনিস আর্নহেম শহরে তাঁদের স্টুডিওতে বলেন, পুনর্গঠনের সবচেয়ে বড় দিকটি হলো একটি চরিত্র তৈরি করা। আপনি চাইলে একটি ফরেনসিক পুনর্গঠন করতে পারেন। তথ্য ব্যবহার করতে পারেন, পেশি বসাতে পারেন, ত্বকও লাগাতে পারেন, কিন্তু এতে কোনো চরিত্র তৈরি হয় না। তবে তাঁরা পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় মাস সময় নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • প্রতিনিধিত্ব করার ‘প্রতীকহীন’ সুযোগ 
  • ১০ হাজার বছর আগের এক নারীর প্রতিকৃতি বানালেন গবেষকেরা
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
  • সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
  • ট্রাম্পের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন ৪০ শতাংশে ঠেকেছে
  • আইন যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
  • এইচএসসি পরীক্ষা: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রে ভালো করতে হলে
  • মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না, জনগণের পাশে থাকুন : আজাদ