সংবিধানপন্থী দল হিসেবে ব্র্যান্ডিংয়ের প্রশিক্ষণ নিল বিপ্লবী পরিষদ
Published: 18th, January 2025 GMT
৭২ এর সংবিধান বাতিল করে নতুন জনগণতান্ত্রিক সংবিধান বাস্তবায়নের ভ্যানগার্ড দল হিসেবে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ছাত্র-জনতার প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নতুন দলকে গড়ে তুলতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী লিডারশিপ ট্রেনিং করেছে দলটির নেতৃবৃন্দ।
এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, দেশের শীর্ষ সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানে ড. মাইমুল আহসান নতুন সংবিধান প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নেতৃবৃন্দকে এজন্য গণপরিষদ গঠনের ওপর গুরত্বারোপ করতে বলেন। তিনি গণপরিষদ গঠন করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি তুলে ধরেন।
দেশের প্রধান দলে পরিণত হতে মূল্যবোধ, গণআস্থা ও নীতির প্রতি অবিচল থাকার সমন্বয়ে ব্র্যান্ডিং করার প্রশিক্ষণ দেন রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং গবেষক জাকারিয়া পলাশ। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল মূলত জনগণের কাছে মূল্যবোধ, রূপকল্প, স্বপ্ন, সুখ, সুশাসন ও ক্ষমতার কথা প্রচার করে। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। অন্যদিকে, সদ্য সাম্প্রতিক দল হিসেবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ পরীক্ষামূলক অবস্থানে আছে।”
জনপ্রিয় ক্যারিয়ার কোচ জামাল উদ্দীন জামী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ের দুইদিন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দকে হাতে কলমে নেতৃত্বের বিভিন্ন স্কিল শেখান। এর মধ্যে রয়েছে কিভাবে নেতারা গভীরভাবে ভাববেন বা ক্রিটিক্যাল থিংকিং করবেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক বয়ান ন্যারেটিভের সমালোচনা করবেন এবং নিজস্ব ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করবেন।
এছাড়া কিভাবে জনগণের সামনে দলকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে, দলে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং যেকোন উদ্ভূত সঙ্কট চিহ্নিত করে, তা দ্রুত সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে সমাধান করতে হবে; তাও নেতাদের শেখানো হয়।
সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান।
এতে অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক রাবেয়া আক্তার, সহকারী সদস্য সচিব সাইয়েদ কুতুব, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, গালীব ইহসান, ডা. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য বায়োজিদ বোস্তামি ও খালিদ হোসাইন।
এছাড়া অংশগ্রহণ করেন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. নাবিল আহমদ, নেছার আহমেদ তুহিন ও সহকারী সদস্য সচিব জাকারিয়া কামাল, সদস্য মুস্তাকিম বিল্লাহ্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম-আহ্বায়ক নিয়াজ আহমদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমেদ আলী প্রমুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক ত ক দল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন
জাতীয় নির্বাচনে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসায় সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার, নির্বাচন অফিস ঘেরাওয়ের ঘোষণা
নড়াইলে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বা কিছু আসন বেশি পাওয়ার লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ যদি পিআর চায় সেটা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে।”
তিনি আরো বলেন, “উচ্চ-নিম্ন সবক্ষেত্রেই আমরা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। তারা ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যাক, ম্যান্ডেট নিয়ে তারা তাদের ভাবনা বাস্তবায়ন করুক।”
জামায়াতসহ কয়েকটি দলের আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন,“যারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাদের দাবি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি আলোচনাধীন। এমন সময় আন্দোলন করা কতটা উচিত, সেটা জনগণ দেখবে।”
স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সমাধান হোক।”
নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পরিণাম ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর চর্চায় রূপ নিবে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে গেলে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুক্ত ২৮টি দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে? এটার উদ্দেশ্য এমন হতে পারে যে, নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধা নিতে আন্দোলনকারীরা আরো দলের নিষিদ্ধের দাবি জানাতে পারে। এতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। এ সূত্র ধরে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে।”
স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারলে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ