জিমেইল সার্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্ত করেছে গুগল। এত দিন জিমেইলে নির্দিষ্ট শব্দ বা ই–মেইল ঠিকানা লিখে অনুসন্ধান করলে ইনবক্সে জমা হওয়ার সময় অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ই–মেইলগুলো দেখা যেত। এর ফলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দ্রুত জানতে ভোগান্তিতে পড়তেন ব্যবহারকারীরা। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে জিমেইল সার্চে অনুসন্ধান ফলাফল আরও নির্ভুল ও প্রাসঙ্গিক হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
এক ঘোষণায় গুগল জানিয়েছে, জিমেইলে এআইভিত্তিক স্মার্ট সার্চ–সুবিধা চালু করা হয়েছে। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে জিমেইলের ইনবক্সে কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে ই–মেইল সাজানো হবে না। সম্প্রতি পাঠানো ই–মেইলের পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ করা ব্যক্তিদের পাঠানো ই–মেইলগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর ফলে অনুসন্ধানের সময় কাঙ্ক্ষিত ই–মেইলগুলো দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনজিমেইলে সময়মতো প্রাপকের কাছে ই–মেইল না পৌঁছানোর ৫ কারণ২২ অক্টোবর ২০২৪জিমেইল সার্চের নতুন এ সুবিধা ওয়েব সংস্করণের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপে ব্যবহার করা যাবে। সুবিধাটি চালু হলে সার্চ ফলাফলের ওপরে ‘মোস্ট রিলেভেন্ট’ ও ‘মোস্ট রিসেন্ট’ নামের দুটি অপশন দেখা যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অপশন দুটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনজিমেইলে ই-মেইল শিডিউল করে রাখবেন যেভাবে১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫জিমেইলের স্মার্ট সার্চ–সুবিধা প্রাথমিকভাবে জিমেইলের পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে করপোরেট ও বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের জন্যও এই সুবিধা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
সূত্র: ম্যাশেবল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’