জকসু: ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
Published: 18th, November 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন ছাত্রদলের কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
একই সঙ্গে ‘জাগ্রত জবিয়ান’ নামে ঘোষিত তাদের বিদ্রোহী প্যানেলও প্রত্যাহার করে ছাত্রদল সমর্থিত মূল প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’কে পূর্ণ সমর্থন জানান তারা।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: নবীনদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
জকসু: ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় আয়োজিত ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিদ্রোহীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অন্যতম ছাত্রদল নেতা রফিক বলেন, “আমি দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আছি। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। দল যে প্যানেল দিয়েছে, আমি সেটাকেই সমর্থন জানাই এবং তাদের সঙ্গেই থাকব।”
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা যে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল ঘোষণা করেছি, তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে আমাদের প্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু করতে চাই, আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করেছি।”
আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ক্যাম্পাসের পরিচিত ও যোগ্যদের নিয়ে প্যানেল গঠন করেছি। আমাদের দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী আছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সংসদে সীমিত সংখ্যক পদ থাকার কারণে সবাইকে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করি, ভবিষ্যৎ জকসু নির্বাচনে তাদের মূল্যায়ন করা যাবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জকস জকস ছ ত রদল র সমর থ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রার্থীদের লাগবে ডোপ টেস্ট, অনলাইনে ব্যক্তি আক্রমণ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার ও প্রার্থীদের নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল।
গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আচরণবিধির ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রত্যাহার’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ডোপ টেস্টের স্যাম্পল দেওয়ার পর প্রাপ্ত রসিদটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেবেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সব প্রার্থীর ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন সংগ্রহ করবে। ডোপ টেস্টের ফলাফল ‘পজিটিভ’ হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রয়োজনে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন গঠিত রিভিউ কমিটির চূড়ান্ত মতামত নেওয়া হবে।
অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার নিয়ম ও তা লঙ্ঘনের বিষয়ে আচরণবিধির অনুচ্ছেদ-৫-এ বলা হয়েছে, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে, তবে তা অবশ্যই আইনসিদ্ধ ইতিবাচক পদ্ধতিতে হতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রচারপত্রে কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ, চরিত্র হনন, গুজব, মানহানিকর আচরণ, অশালীন উক্তি, উসকানিমূলক কোনো কথা কিংবা কারও বিরুদ্ধে কোনো অসত্য তথ্য ছড়ানো, কোনো ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক দল বা সংশ্লিষ্ট কারও অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো কিছু করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো প্রচারণা করা যাবে না।
এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো অনলাইন সাইট বা গ্রুপ বন্ধ, কনটেন্ট ডিলিট এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কমিশনের মনিটরিং সেল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। আচরণবিধিতে এমনটাই উল্লেখ করা আছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি কী, সে বিষয়ে উল্লেখ আছে অনুচ্ছেদ-১৮ তে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ বা কোনো ভোটার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা অথবা রাষ্ট্রীয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবে। নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’