রংপুরে ফরম পূরণ করেও প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী, মানববন্ধন
Published: 5th, April 2025 GMT
রংপুরে দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্বে ফরম পূরণ করেও এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ পরীক্ষার্থী। এতে ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়া এম এন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মোট ৭৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেবে। গত ডিসেম্বরে আড়াই হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করে শিক্ষার্থীরা। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম। তিনি ব্যাংকে টাকা জমা না দেওয়ায় প্রবেশপত্র দিচ্ছে না শিক্ষা বোর্ড।
তামান্না আখতার নামের এক পরীক্ষার্থী বলে, ‘পরীক্ষার মাত্র পাঁচ দিন আছে। কিন্তু এখনো প্রবেশপত্র হাতে পাইনি। এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। অথচ পরীক্ষা দিতে পারব কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি।’
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান আমিনুর রহমান নামের এক শিক্ষক। তাঁর দাবি, রেজাউল ইসলাম প্রধান শিক্ষক থাকাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা নেন। কিন্তু টাকা ব্যাংকে জমা না রাখায় তাঁরা প্রবেশপত্র আনতে পারছেন না, রেজাউল ইসলামও কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষককে আগামীকাল রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরায় বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাবির বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সনাক্তসহ এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ বলেন, “সারা বাংলাদেশের আন্দোলনে ছাত্রদের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামকে পুঁজি করে একটি কুচক্রী মহল একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে চায়। উত্তরায় শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছিল, তারা ন্যায়ের পক্ষে ছিল। কিন্তু একটি কচক্রী মহল কৌশলে তাদের ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “কিছু ইনফ্লয়েঞ্চার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ফলে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, “কিছু দুর্বৃত্ত এবং কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের আন্দোলনে প্রবেশ করে ঢাবির বাসে হামলা করে চালক ও শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। একটি কুচক্রী মহল সারা দেশে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ হামলা। এটি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের ফাটল ধরাতেই এ হামলা।”
তিনি বলেন, “জুলাইয়ে গড়ে ওঠা ঐক্যকে যারা ভাঙতে চাচ্ছে, তাদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আট মাস হয়ে গেলেও প্রশাসন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ হামলার দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না। দ্রুত আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি করে ক্ষণিকা বাসে হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এতে বিলম্ব হলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এর উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।”
দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী ক্ষণিকা বাসে ভাঙচুর চালায় একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বাসের ড্রাইভারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী