চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে নিরাপদ ও বাসযোগ্য মোহাম্মদপুর গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার অন্তত ৭০টি কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুর-আদাবরের সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের মাঠে জড়ো হয়। রোদের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দেয় তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও সেখানে আসেন।

দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কলেজের শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে মোহাম্মদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চাই। আজকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে না বলেছে। এভাবে এলাকায় যারা সন্ত্রাসী ও রাহাজানি করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। তবুও মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসী এলাকা, এমন কথা শুনতে হয়। আজকে মাদক আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। এ দৃষ্টান্ত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রা শুরু হোক মাদক ও সন্ত্রাসকে না বলার।

এ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, মোহাম্মদপুর ও আদাবরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও রাজনীতিবিদেরা একসঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন হতে বাধ্য।

সমাবেশ শেষে মিছিল করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘যে ‍মুখে মা ডাকি, সে মুখে মাদক নয়’, ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’, ‘কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’, ‘চাঁদাবাজের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’ স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে বের হয়ে তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, আসাদ অ্যাভিনিউ, টাউন হল ও শের শাহ সূরী রোড ঘুরে কিশলয় উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি’র দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

রবিবার (২৭ জুলাই) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিসিক বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নাসিম উদ্দিন মালিথা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শাহজাদপুরের নেতৃবৃন্দ, শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ। 

আরো পড়ুন:

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ঢাবির হ‌লে অধূমপায়ীদের কক্ষে ধূমপায়ীদের সিট দেওয়া হবে না

সকাল সোয়া ১০টায় আন্দোলনকারীরা বিসিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। 

শাহজাদপুর শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান আজকের একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদন করে ক্যাম্পাস নির্মাণের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। 

শাজদাপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি মির্জা হুমায়ুন বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য কোনো ভূমি অধিগ্রহণের দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথের জমিতেই হবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরও ডিপিপি অনুমোদনে বাধা কোথায়? আমাদের দাবি, আজকের একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদন করা হয়।”

মানববন্ধনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড তাঁদের হাতে দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, “অবিলম্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপির অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই- লেখা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে বলেন এই কথাই আমাদের বক্তব্য।” 

পরে বেলা সোয়া ১১টায় পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আগামীকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যকাডেমিক ভবন-৩ সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের মানববন্ধন চলমান থাকবে।

ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে ববিতে মানববন্ধন
  • সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • নেত্রকোনায় বাবরকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে সম্মান কোর্স চালুর দাবিতে মানববন্ধন
  • ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
  • ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে  মানববন্ধন, স্মারকলিপি
  • রাজশাহীতে চাঁদাবাজির মামলার বাদীকেই গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির
  • গাইবান্ধায় কলেজছাত্র সিজু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের