ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন সব তথ্য
Published: 28th, July 2025 GMT
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে প্রভাতি শাখায় আবাসিক বা অনাবাসিক এবং দিবা শাখায় অনাবাসিক হিসেবে ছাত্র ভর্তি করা হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা অনুসরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
আবেদনের যোগ্যতা ও আসনসংখ্যাবিভাগভিত্তিক আসনসংখ্যা এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা নিচে দেওয়া হলো।
১.বিজ্ঞান বিভাগ
# প্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ১৫০, অনাবাসিকে আসন ২৫০। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৩০০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৫.০০।
# প্রভাতি শাখা: ইংরেজি ভার্সনে আবাসিকে আসন ১০, অনাবাসিকে আসন ৫৫। দিবা শাখা: ইংরেজি ভার্সনে অনাবাসিকে আসন ৬৫। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৫.০০।
২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ# প্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ১৫, অনাবাসিকে আসন ৩৫। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
# প্রভাতি শাখা: ইংরেজি ভার্সনে আবাসিকে আসন ১০, অনাবাসিকে আসন ৪০। দিবা শাখা: ইংরেজি ভার্সনে অনাবাসিক আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
৩. মানবিক বিভাগপ্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ২০, অনাবাসিকে আসন ৩০। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য১. এ কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (উভয় শাখার) শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আবাসিক থাকতে চায়, তাদের অবশ্যই প্রস্তুতি শাখায় আবাসিক হিসেবে আবেদন করতে হবে। যারা অনাবাসিক থাকতে চায়, তারা এসএসসিতে যে শাখায় (শিফটে) ছিল, সেই শাখায় (শিফটে) আবেদন করবে। এ কলেজ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরমে পছন্দক্রম তালিকায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের প্রযোজ্য শাখায় (শিফটকে) ১ নম্বরে রাখতে হবে।
২. ভর্তি-ইচ্ছুক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রভাতি বা দিবা শাখায় নির্বাচিত হবে। প্রভাতি শাখায় নির্বাচিত ছাত্ররা ভর্তির সময় আবাসিক বা অনাবাসিক হিসেবে আবেদন করতে পারবে। প্রভাতি ও দিবা শাখায় ভর্তিকৃত কোনো ছাত্র শাখা (শিফট) পরিবর্তন করতে পারবে না।
৩. কলেজের ওয়েবসাইট www.drmc.edu.bd এ ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য, নিয়মাবলি ও ফলাফল জানা যাবে।
৪. কলেজের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয়সংক্রান্ত যাবতীয় বিবরণ কলেজের ওয়েবসাইট www.drmc.edu.bd এ সংযুক্ত করা আছে।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু ৩০ জুলাই থেকেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি–এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট, ৮ পরীক্ষককে আজীবন অব্যাহতি
২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর) মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে আট পরীক্ষককে পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষকেরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন সাভারের সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চতর গণিতের শিক্ষক মহসীন আলামীন, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসাইন আকন, ঢাকার নবাবগঞ্জের মুন্সীনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, টাঙ্গাইলের বাসাইলের সুল্লা আব্বাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. আলেকজান্ডার মিয়া, নরসিংদীর বেলাবোর বারৈচা কলেজের বাংলার শিক্ষক মধুছন্দা লিপি, ডেমরার রোকেয়া আহসান কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মুরছানা আক্তার, সাভারের হাজী ইউনুছ আলী কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. জাকির হোসাইন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. রাকিবুল হাসান।
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই আট পরীক্ষক শিক্ষার্থীদের দিয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের (ওএমআর) বৃত্ত ভরাট করান। যার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে শিক্ষকেরা দায় স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষও তদন্ত করে তাঁদের অপরাধের সত্যতা পেয়েছে। এ জন্য তাঁদের ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি৪ ঘণ্টা আগে