যে কারণে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না বার্সেলোনা ও আর্সেনাল
Published: 6th, May 2025 GMT
ব্যাপারটা এখন থেকেই হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ক্লাবগুলোর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অথচ সেখানে ইউরোপ–সেরা দল থাকবে না, তা হয় কীভাবে! ফিফারও যে এ নিয়ে তিল পরিমাণ দুশ্চিন্তা নেই, সেটাও নয়।
ভেঙে বলা যাক। এবারের ইউরোপ–সেরা এখনো নির্ধারিত হয়নি। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। আর যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ জুন শুরু হয়ে ১৩ জুলাই শেষ হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ধরে নেওয়া যাক, এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। ফিফা ঠিক তখনই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। কারণ, এ দুটি দলের কেউ–ই এবার ক্লাব বিশ্বকাপে নেই। তাই ইউরোপ–সেরা দলকে ক্লাব বিশ্বকাপে না দেখার ঝুঁকিটা থেকেই যায়। যদিও সেমিফাইনালের অপর দুই দল ইন্টার মিলান ও পিএসজি জায়গা করে নিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে।
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে পাওয়া যাবে ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি৫ ঘণ্টা আগেবার্সা ও আর্সেনালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠে আসার পথও আলাদা। সান সিরোয় আজ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সা। প্রথম লেগ ৩–৩ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। বুধবার রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ১–০ গোলে হেরেছে মিকেল আরতেতার দল। অর্থাৎ আর্সেনাল ও বার্সেলোনা—দুই দলেরই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে।
তবে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে—বার্সা ও আর্সেনাল কেন এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নেই?
গোটা মৌসুমে দারুণ খেললেও ক্লাব বিশ্বকাপে দেখা যাবে না বার্সাকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ক ল ব ব শ বক প আর স ন ল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
এবার প্রিন্স মাহমুদের ‘মায়াপাখি’
‘জনম জনম’, ‘বন্ধুগো শোনো’, ‘যদি আলো আসতো’র পর এবার শ্রোতা প্রশংসা কুড়াচ্ছে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরের ‘জংলি’ সিনেমার চতুর্থ গান ‘মায়াপাখি’। নন্দিত এই গীতিকার ও সুরকারের এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহতিম সাকিব। প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রিন্স মাহমুদের সুরে এটি তার প্রথম গান। সম্প্রতি টাইগার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ আয়োজন নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘বাবাদের কাছে তার সন্তান সবসময়ই ‘মায়াপাখি’। প্রতিটি বাবা তাঁর সন্তানের জন্য যে কথা বলতে চায়, যে বার্তা রেখে যেতে চায় সেই না বলা কথা, সেই না লেখা বার্তাই ‘মায়াপাখি’’।
স্বল্পভাষী এই সুরকার তার কোনো আয়োজন নিয়েই বেশি কিছু বলেন না। শ্রোতাদের উপরই ছেড়ে দেন তার কাজের বিচার ভার। ‘মায়াপাখি’ নিয়েও স্বল্প কথায় জানিয়ে দিলেন এই সৃষ্টির গভিরতা।
শিল্পী মাহতিম সাকিবের কথায়, প্রিন্ম মাহমুদের অনবদ্য আয়োজনে সংগীত হতে পারা অন্যরকম ভালো লাগার। একই সঙ্গে ‘জংলি’ সিনেমায় নন্দিত এই সুরকারের সুরে সেসব শিল্পী প্লেব্যাক করেছেন, তাদের পাশে নিজের নাম খুঁজে পাওয়া গর্ব ও সন্মানের।
‘জংলি’ সিনেমা মুক্তির তিন সপ্তাহ পেরিয়ে পেরিয়ে গেলেও কেন ‘মায়াপাখি’ গানটি প্রকাশ করা হয়নি, গানটি কেন এতদিন আটকে রাখা হয়েছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। কারণ ‘জংলি’ সিনেমার গানগুলো নিয়ে শুরু থেকেই দর্শক শ্রোতার কৌতুহল ছিল সীমাহীন। একেকটি গানের জন্য প্রহর গুণে গেছেন সংগীতপ্রেমীরা। কারণ একটাই, ‘জংলি’ সিনেমার জন্য একসঙ্গে চারটি ভিন্ন ধাচের গান তৈরি করেছেন প্রিন্স মাহমুদ; যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি।
শ্রোতাদের দাবি, নব্বই দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রিন্স মাহমুদ তার অনবদ্য সৃষ্টির ধারা বজায় রেখে চলেছেন। সে কারণে যখনই শ্রোতা তার নতুন কোনো আয়োজনের খবর পান, তখন থেকেই সেই সৃষ্টি নিয়ে প্রহর গুণে যাওয়া শুরু হয়। তাই অনেকদিন অপেক্ষায় রেখে ‘মায়াপাখি’ শিরোনামের যে গানটি প্রকাশ করা হচ্ছে, তা অনেকের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরের ‘জংলি’ সিনেমার প্রথম গান ‘জনম জনম’ প্রকাশিত হয়েছিল গত ১২ ফেব্রæয়ারি। গানটিতে প্লেব্যাক করেছেন তাহসান খান ও আতিয়া আনিসা। সংগীতায়োজন করেছেন সময়ের আরেক আলোচিত শিল্পী ও সংগীতায়োজন ইমরান মাহমুদুল।
গানটি প্রকাশ কালে তাহসান বলেছিলেন, ‘গানের ভুবনে যারা আমার ভীষণ প্রিয়, প্রিন্স মাহমুদ তাদের একজন। তার লেখা ও সুরের ধরন অনেকের চেয়ে আলাদা, যা সহজেই হৃদয় স্পর্শ করে। এর আগে বিভিন্ন অ্যালবামে তাঁর কথা ও সুরে গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছে। তবে ‘জংলি’ সিনেমার সুবাদে তাঁর সুরে প্রথম প্লেব্যাক করা। তার অ্যালবামের গানগুলো যেখাবে শ্রোতা মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে, ঠিক একই ভাবে ‘জংলি’ সিনেমার ‘জনম জনম’ গানের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হবে না।’
শিল্পী আতিয়া আনিসা বলেছিলেন, কিংবদন্তিতুল্য সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যার কালজয়ী গানগুলো শুনে শুনে বেড়ে ওঠা, সেই প্রিন্স সুরে প্লেব্যাক সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। তার সুরে গাওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখারও সুযোগ হয়েছে। এটি সংগীত ক্যারিয়ারের স্মরণীয় একটি আয়োজন।’
একইভাবে সিনেমার দ্বিতীয় গান “বন্ধু গো শোনো’’ নিয়ে শিল্পী ইমরান মাহমুদুলের ভাষ্য, ‘এটি এমন একটি গান, যা শ্রোতাদের মুগ্ধতার আবেশে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে।’ দ্বৈত এ গানের আরেক শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা বলেছেন, “সময়কে ছাপিয়ে যাওয়ার মতো আরকেটি অসম্ভব সুন্দর গান ‘জংলি’ সিনেমার ‘বন্ধুগো শোনো’। যার স্রষ্ঠা প্রিন্স মাহমুদ। তার পক্ষেই এমন অনবদ্য আয়োজন সম্ভব, যা শ্রোতা মনে দীর্ঘদিন অনুরণন তুলে যাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’
‘জংলি’র গান নিয়ে প্রশংসা করতে পিছিয়ে যাননি নন্দিত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ নিজেও। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এবারই প্রথম তিনি প্রিন্ম মাহমুদের সুরে কোনো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যার শিরোনাম ‘যদি আলো আসতো’। হাবিবের কথায়, প্রিন্স মাহমুদ একজনই, যার তুলনা চলে শুধু তার সঙ্গেই।”
এদিকে ‘মায়াপাখি’ গানটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রিন্সের ‘জংলি’ সিনেমার সংগীত সফর। এখন তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন নতুন গানের আয়োজনে। এ বছরের বিভিন্ন প্রান্তে তার সুরে গাওয়া বেশ কিছু প্রকাশ পাবে। যেখানে পছন্দের ব্যান্ড তারকাদের গান শোনার সুযোগ থাকছে শ্রোতাদের।
প্রসঙ্গত, গানের পাশাপাশি গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমাটিও দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মনোযোগ কেড়েছেন সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।