নাটোরের প্রবীণ সাংবাদিক নবীউর রহমান মারা গেছেন
Published: 6th, May 2025 GMT
নাটোরের প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু মারা গেছেন। (ইন্না … রাজিউন)। তিনি একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
প্রয়াত নবীউর রহমানের ভাগ্নির স্বামী সামিউল ইসলাম সামি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নবীউর রহমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বোনম্যারো সংক্রান্ত জটিলতা ছিল তার।
আরো পড়ুন:
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন জরুরি
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছেন: কামাল আহমেদ
নবীউর রহমান স্ত্রী রেখেছেন। এ দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন।
নবীউর রহমান ১৯৮৪ সালে দৈনিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি নাটোর জেলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আগামীকাল বুধবার (৭ মে) সকালে শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান শেষে তার জানাজা হবে। পরে তাকে জেলার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ড.
তারা বলেন, পিপলুর মৃত্যুতে নাটোরবাসী শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হারালো না, একজন একনিষ্ঠ সংবাদ কর্মীকেও হারালো। তাকে নাটোরবাসী দীর্ঘদিন মনে রাখবে। তারা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মাহবুবুর রহমান ওরফে মাসুম (৩৯) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ‘চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেল’ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাহবুবুর রহমান শহরের পলাশপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার অদূরে সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ পান করে অসুস্থ হওয়ার পর তিনি মারা যান বলে পুলিশের ভাষ্য।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মাহবুবুর রহমান তিন দিন ধরে হোটেলে অবস্থান করছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদপান করে অসুস্থ হওয়ার পর তিনি মারা যান। তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) খবর দেওয়া হয়েছে।
নিহতের চাচা লাবলু রহমান বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে মাহবুবুর বিবাহিত। তাঁর আট ও ছয় বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে। ঢাকার সাভারে একটি কারখানায় চাকরির সুবাদে বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় নিজস্ব বাড়িটি তালাবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় এলেও আমাদের জানা ছিল না। সকালে খবর পেয়ে হোটেলে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’