নাটোরের প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু মারা গেছেন। (ইন্না … রাজিউন)। তিনি একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

প্রয়াত নবীউর রহমানের ভাগ্নির স্বামী সামিউল ইসলাম সামি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নবীউর রহমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বোনম্যারো সংক্রান্ত জটিলতা ছিল তার।

আরো পড়ুন:

ধর্মীয় অনুভূতি‌তে আঘা‌তের অভিযোগে সাংবা‌দিক গ্রেপ্তার

স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন জরুরি 
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছেন: কামাল আহমেদ

নবীউর রহমান স্ত্রী রেখেছেন। এ দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন।

নবীউর রহমান ১৯৮৪ সালে দৈনিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি নাটোর জেলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আগামীকাল বুধবার (৭ মে) সকালে শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান শেষে তার জানাজা হবে। পরে তাকে জেলার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ড.

মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, ক্লিনিক মালিক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নেতা আতিকুল ইসলাম রাসেল ও আবদুল আউয়াল রাজা, নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মেদ রফিক বাবন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ শোক জানিয়েছেন। 

তারা বলেন, পিপলুর মৃত্যুতে নাটোরবাসী শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হারালো না, একজন একনিষ্ঠ সংবাদ কর্মীকেও হারালো। তাকে নাটোরবাসী দীর্ঘদিন মনে রাখবে। তারা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 
 

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে

জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।

‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’

ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।

সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
  • ‘ট্রাম্প-মোদি ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও ভারত–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে কেন, সামনে কী
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
  • পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • এখানে অযোগ্যরা তেল দেওয়া ছাড়া জায়গা তৈরি করতে পারে না
  • ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক
  • মোদির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ালো
  • মাগুরায় ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রযুক্তিতে সফল উদ্যোক্তা লিজা
  • ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে