আনচেলত্তির ‘তারকাপ্রীতির’ কারণে রিয়ালের এই দশা
Published: 6th, May 2025 GMT
মৌসুম শুরুর প্রথম ১০ ম্যাচে অপরাজিত, সেই দলটির কিনা পরের ১১ ম্যাচের পাঁচটিতে হার। মৌসুমের মাঝপথে এসেই পথ হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হারিয়ে এমবাপ্পে-ভিনিরা এখন তাকিয়ে লা লিগায় এল ক্ল্যাসিকোর দিকে। আসছে রোববার সেই ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে হেরে গেলে ট্রফিশূন্যই থাকতে হবে স্প্যানিশ জায়ান্টদের।
কেন এবং কীভাবে পথ হারাল রিয়াল? উত্তর জানতে অনেকেই অনেকভাবে দলটিকে নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। স্পেনের জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক ‘স্পোর্ত’ এক প্রতিবেদনে মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। কোচ আনচেলত্তির কৌশলের ওপর নাকি আস্থা হারিয়েছেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। এজন্যই দলের এই দশা।
কোচের ওপর তাদের প্রধান অভিযোগ তিনি নাম দেখে স্কোয়াড সাজান এবং তার মধ্যে প্রচণ্ড তারকাপ্রীতি ও নির্ভরতা রয়েছে। এতে স্কোয়াড ভারসাম্য হারিয়েছে। মূলত লা লিগায় বার্সেলোনার কাছে হারার পর থেকেই আনচেলেত্তির ‘রক্ষণাত্মক’ কৌশল রিয়ালের মূল সত্তা হারিয়েছে।
মৌসুমের মাঝপথ থেকেই নাকি তার সঙ্গে খেলোয়াড়দের মতের অমিল চলছে। এমনিতে ঠান্ডা মাথায় আনচেলত্তির লকার রুম ব্যবহার নিয়ে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু তার ফুটবলীয় কৌশল নিয়ে অনাস্থা বেড়েছে। তিনি ভীষণভাবে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নির্ভর করেছেন, দলগতভাবে আক্রমণে সৃষ্টিশীল কিছু করতে পারেননি।
তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ- তিনি তরুণ ডিফেন্ডার মার্কো অ্যাসেনসিওকে না খেলিয়ে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার চুঁয়ামেনিকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলিয়েছেন। তরুণ আর্দা গুলারকে বেঞ্চে রেখে আউট অব পজিশনে রদ্রিগোকে টানা সুযোগ দিয়ে গেছেন। বুড়ো লুকা মডরিচকে খেলিয়েছেন অথচ দানি সেবায়োসকে সুযোগ দেননি।
এসব কারণেই নাকি তাকে সম্মানজনক বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। রোববারের ক্ল্যাসিকো হেরে গেলে, সেটিই হতে পারে আনচেলেত্তির জন্য রিয়ালের শেষ ম্যাচ।
আনচেলত্তি রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি শেষের আগে বিদায় নিলেও ৫ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করছিল। রিয়াল শুরুতে আপত্তি করলেও সেটা নাকি সমঝোতার মাধ্যমে মিটে গেছে। রিয়ালকে ১৫টি ট্রফি এনে দেওয়া কোচকে মনোকষ্ট দিয়ে বিদায় দিতে চান না কেউ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আনচ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসেও বিভক্ত বিএনপি, পৃথক তিন শোভাযাত্রা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপির তিনটি পক্ষ পৃথকভাবে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে। এক দিনে একই কর্মসূচি ঘিরে দলের এমন বিভক্তি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আজ মঙ্গলবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেনবাগ শহরে তিনটি পৃথক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করে বিএনপির তিনটি পক্ষ। একই দিনে কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। তবে ওই দুই দলের কর্মসূচি ছিল সুশৃঙ্খল ও একক নেতৃত্বে।
বিএনপির কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি আয়োজিত হয় বেলা ১১টার দিকে সেনবাগ শহরের দক্ষিণ বাজারে জেলা পরিষদ সুপারমার্কেট চত্বরে। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বাধীন অংশের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ফারুকের নেতৃত্বে একটি বিজয় শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
সেনবাগে বিজয় শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজি মফিজুর রহমান। আজ বিকেলে সেনবাগ থানার মোড়ে