মৌসুম শুরুর প্রথম ১০ ম্যাচে অপরাজিত, সেই দলটির কিনা পরের ১১ ম্যাচের পাঁচটিতে হার। মৌসুমের মাঝপথে এসেই পথ হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হারিয়ে এমবাপ্পে-ভিনিরা এখন তাকিয়ে লা লিগায় এল ক্ল্যাসিকোর দিকে। আসছে রোববার সেই ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে হেরে গেলে ট্রফিশূন্যই থাকতে হবে স্প্যানিশ জায়ান্টদের।

কেন এবং কীভাবে পথ হারাল রিয়াল? উত্তর জানতে অনেকেই অনেকভাবে দলটিকে নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। স্পেনের জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক ‘স্পোর্ত’ এক প্রতিবেদনে মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। কোচ আনচেলত্তির কৌশলের ওপর নাকি আস্থা হারিয়েছেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। এজন্যই দলের এই দশা।

কোচের ওপর তাদের প্রধান অভিযোগ তিনি নাম দেখে স্কোয়াড সাজান এবং তার মধ্যে প্রচণ্ড তারকাপ্রীতি ও নির্ভরতা রয়েছে। এতে স্কোয়াড ভারসাম্য হারিয়েছে। মূলত লা লিগায় বার্সেলোনার কাছে হারার পর থেকেই আনচেলেত্তির ‘রক্ষণাত্মক’ কৌশল রিয়ালের মূল সত্তা হারিয়েছে।

মৌসুমের মাঝপথ থেকেই নাকি তার সঙ্গে খেলোয়াড়দের মতের অমিল চলছে। এমনিতে ঠান্ডা মাথায় আনচেলত্তির লকার রুম ব্যবহার নিয়ে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু তার ফুটবলীয় কৌশল নিয়ে অনাস্থা বেড়েছে। তিনি ভীষণভাবে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নির্ভর করেছেন, দলগতভাবে আক্রমণে সৃষ্টিশীল কিছু করতে পারেননি।

তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ- তিনি তরুণ ডিফেন্ডার মার্কো অ্যাসেনসিওকে না খেলিয়ে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার চুঁয়ামেনিকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলিয়েছেন। তরুণ আর্দা গুলারকে বেঞ্চে রেখে আউট অব পজিশনে রদ্রিগোকে টানা সুযোগ দিয়ে গেছেন। বুড়ো লুকা মডরিচকে খেলিয়েছেন অথচ দানি সেবায়োসকে সুযোগ দেননি।  

এসব কারণেই নাকি তাকে সম্মানজনক বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। রোববারের ক্ল্যাসিকো হেরে গেলে, সেটিই হতে পারে আনচেলেত্তির জন্য রিয়ালের শেষ ম্যাচ।

আনচেলত্তি রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি শেষের আগে বিদায় নিলেও ৫ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করছিল। রিয়াল শুরুতে আপত্তি করলেও সেটা নাকি সমঝোতার মাধ্যমে মিটে গেছে। রিয়ালকে ১৫টি ট্রফি এনে দেওয়া কোচকে মনোকষ্ট দিয়ে বিদায় দিতে চান না কেউ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আনচ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় পাউবোর জায়গায় ৩৫ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুষ্টিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গায় থাকা ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস পশ্চিমপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানসহ সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। 

অভিযানকালে প্রায় ৩৫টি ছোট-বড় অবৈধ ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় ঘর হারানো অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। 

তারা বলেন, “বাপ-দাদার আমল থেকে এখানে বাস করি। পরিবারের মানুষগুলোকে নিয়ে এখন কোথায় থাকব? কোনো জমি নেই, কোথাও যাওয়ারও জায়গা নেই।”

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্যানেলের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করেছে দখলবাজরা। এতে ফসলি জমিতে পানি যেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই, এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “উচ্ছেদ অভিযানের আগে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল। তবু, তারা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় আজ অভিযান চালিয়ে ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।”

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেছেন, “জেলাজুড়ে অবৈধ দখলে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব জায়গা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ