দীর্ঘ ৮ বছর প্রতিক্ষার পর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এছাড়া আনন্দ মিছিলও বের করেন তারা।

দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নানা জটিলতা ও সংশোধনের পর বুধবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। চলতি মে মাস থেকেই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

এ প্রকল্পের বাজেটে প্রথমে ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে তা কমিয়ে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জৌলুস ফিরলেও অরক্ষিত শিলাইদহের কাচারি বাড়ি 

‘গানটা না থাকলে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য কতটা উঁচু হতো আমার ধারণা নেই’

জানা গেছে, নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকল্প প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি ফেরত দিয়ে ব্যয় এবং আকার কমানোর সুপারিশ করা হয়। পরে আরো পাঁচবার প্রস্তাব করা হলেও অনুমোদন না দিয়ে সংশোধনের জন্য একইভাবে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচন-নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত বছরের ডিসেম্বরে সপ্তমবারের মতো প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। এবার ব্যয় আগের চেয়ে ৮৯ শতাংশ কমিয়ে ৯৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পর্যালোচনা সভায় আবারও ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়।

বারবার সংশোধন আর পুনর্গঠনের গোলকধাঁধায় আটকে ছিল এই প্রস্তাব। অবশেষে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রকল্প প্রস্তাবটি বুধবার একনেকের সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে কিশোরের ‘আত্মহত্যা’

অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর ‘আত্মহত্যা’ করেছে। গতকাল বুধবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডি গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কিশোরের নাম ইয়ামিন (১৬)। সে আব্দুল হাকিমের ছেলে।

ইয়ামিনে মা সকিনা বেগম বলেন, শ্রমিকের কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছি। কয়েকদিন থেকেই ছেলে বায়না ধরে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে দিতে হবে। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় ফোন কিনে দিতে পারেনি। এ নিয়ে ছেলেকে বকাও দেই। কিন্তু কে জানতো ফোন কিনে না দেওয়ায় সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর ইসলাম, ইয়ামিনের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ