আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি
Published: 9th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার কিছু আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
‘এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে’, বলা হয় বিবৃতিতে।
সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভের বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ‘দ্য ওয়্যার’ নিউজ সাইট বন্ধ
নিউজ পোর্টাল দ্য ওয়্যারের ওয়েবসাইট (thewire.in) ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। দ্য ওয়্যারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা এই পদক্ষেপকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে দ্য ওয়্যার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরা ওয়েবসাইটটি বন্ধের বিষয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য দিচ্ছে। তবে তারা জানতে পেরেছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায়: তথ্য উপদেষ্টা
কোরবানির ঈদে সংবাদপত্রে ৪ দিন ছুটি দাবি মাহমুদুর রহমানের
দ্য ওয়্যার এই ঘটনাকে ‘নগ্ন সেন্সরশিপের’ শামিল বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, বর্তমানে ভারতে যখন সুস্থ, সত্যনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তখন এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের জন্য ক্ষতিকর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই স্বেচ্ছাচারী ও অস্পষ্ট সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিবৃতিতে দ্য ওয়্যারের পক্ষ থেকে গত ১০ বছর ধরে তাদের পাশে থাকার জন্য পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে এবং এই কঠিন সময়েও সবার সমর্থন কামনা করা হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, সত্য ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনে তারা কোনো প্রকার বাধার কাছে নতি স্বীকার করবে না।
বিবৃতির শেষে দ্য ওয়্যার ‘সত্যমেব জয়তে’ উদ্ধৃত করে তাদের সত্যের পথে অবিচল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।এই ঘটনা ভারতের গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার জন্য একটি অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
ঢাকা/এসবি