ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
Published: 19th, November 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে দলটির একাংশের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলা সদর, ফান্দাউক ও কুণ্ডা এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁকে পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি কামরুজ্জামান মামুনকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁর সমর্থকেরা। কামরুজ্জামান উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আজ সকাল ১০টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে কামরুজ্জামান মামুনের অনুসারী নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে শহীদ মিনার ও উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কের উভয় পাশে ‘উপজেলা বিএনপি, সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন’–এর ব্যানারে মানববন্ধন শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
উপজেলা সদরে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রেজিয়া বেগম বলেন, ‘কামরুজ্জামান মামুন দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি সাধারণ মানুষের নেতা। বিএনপি থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে আমরা এক হয়েছি।’
আরও পড়ুনচারটি আসনে বিএনপিতে অসন্তোষ, আগেভাগেই প্রচারে জামায়াত ১৭ নভেম্বর ২০২৫এ সম্পর্কে কামরুজ্জামান মামুন বলেন, এখানে যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও পরাজিত হয়েছিলেন। এ কারণে এখানকার মানুষ প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
তবে বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান বলেন, ‘তৃণমূলে রাজনীতি করেও যে এমপি মনোনয়ন পাওয়া যায়, সেটা বিএনপির হাইকমান্ড প্রমাণ করেছে। আশা করি, প্রথমবারের মতো আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারব।’
একই সময় উপজেলার ফান্দাউক ও কুণ্ডা এলাকায় কামরুজ্জামানের অনুসারী নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা একই দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
মানববন্ধনে গণিত বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর এ কে এম কামরুল হাসান বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অপানি বৈষম্যবিহীন এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের পেটে যদি ভাত না থাকলে দুর্নীতি না, এর চেয়ে ভয়ংকর কিছু করতে বাধ্য হব। আমাদের যদি দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান তাহলে নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করেন।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা যদি কর্মচারীদের এভাবে দাবিয়ে রাখেন তাহলে দেশ অচল হয়ে যাবে। সবসময় দেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য দেশের কর্মচারীদের একটি মানসম্মত পে-স্কেল দিতে হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।”
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ আলম বলেন, “কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা পে কমিশন গঠন করেন এবং বাংলাদেশের পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। তখন থেকেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যেই আমরা একটি প্রজ্ঞাপন চাই। কিন্তু এই সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন নানা রকম অজুহাতে।”
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে প্রহসন চলছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, “নবম পে-স্কেল আমাদের প্রাণের দাবি। কমিশন গঠন করেছেন আপনারা, নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন আপনারা। নতুন পে-স্কেল আপনারাই বাস্তবায়ন করবেন।”
গত জুলাই মাসে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয় এবং এই কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এখন হচ্ছে না নতুন পে স্কেল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে আগামী নির্বাচিত সরকার।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী