ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

গত বুধবার (৭ মে) ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। তার জবাবে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ করার কথা বলছে পাকিস্তান। পাল্টা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’।

পাকিস্তানের জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভিযানের এই নাম নেওয়া নেওয়া হয়েছে ইসলামের পবিত্রগ্রন্থ কোরআন থেকে। ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ এর অর্থ ‘গলিত সীসা দিয়ে নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর’, যা শক্তি, সংহতি ও দৃঢ়তার প্রতীক।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ আক্রমণের আগে ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শাহাদাত বরণকারী শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এক বাহনে ওই শিশুদের নাম সংবলিত ব্যানারের সামনে সামরিক সদস্যদের দেখা গেছে।

পাকিস্তানের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম প্রোপাকিস্তানি লিখেছে, বুনিয়ান-উন-মারসুসের আক্ষরিক অর্থ ‘লোহার প্রাচীর’। এটি কুরআনের সূরা আছ-ছফের একটি আয়াতের অংশ, যার অর্থ- “নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন- যারা তার পথে এমন সুসংহতভাবে লড়াই করে, যেন তারা সুদৃঢ় প্রাচীর।’’

গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। শুরু থেকে এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। এর মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজন সন্ত্রাসীর পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়। যদিও ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকারে করে আসছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায় ভারত। শুক্রবার রাত থেকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান 'অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ম রস স

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবার ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছেন।

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে তিনি ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে (গ্রিন লাইফ হাসপাতালের পাশে) উপস্থিত হয়ে ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম এ সমন্বয়ক  এখন কুমিল্লা-৩ আসনের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন। 

জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি–কলাবাগান–নিউমার্কেট–হাজারীবাগ) থেকে প্রার্থী হতে পারেন। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই আসনে ভোটার হচ্ছেন তিনি।

ঢাকা-১০ আসনটি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা, যেখানে রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আসিফ মাহমুদের ভোটার স্থানান্তরকে অনেকেই তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ