পাকিস্তানের অভিযানের নাম কেন ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ রাখা হলো
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গত বুধবার (৭ মে) ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। তার জবাবে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ করার কথা বলছে পাকিস্তান। পাল্টা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’।
পাকিস্তানের জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভিযানের এই নাম নেওয়া নেওয়া হয়েছে ইসলামের পবিত্রগ্রন্থ কোরআন থেকে। ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ এর অর্থ ‘গলিত সীসা দিয়ে নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর’, যা শক্তি, সংহতি ও দৃঢ়তার প্রতীক।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ আক্রমণের আগে ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শাহাদাত বরণকারী শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এক বাহনে ওই শিশুদের নাম সংবলিত ব্যানারের সামনে সামরিক সদস্যদের দেখা গেছে।
পাকিস্তানের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম প্রোপাকিস্তানি লিখেছে, বুনিয়ান-উন-মারসুসের আক্ষরিক অর্থ ‘লোহার প্রাচীর’। এটি কুরআনের সূরা আছ-ছফের একটি আয়াতের অংশ, যার অর্থ- “নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন- যারা তার পথে এমন সুসংহতভাবে লড়াই করে, যেন তারা সুদৃঢ় প্রাচীর।’’
গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। শুরু থেকে এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। এর মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজন সন্ত্রাসীর পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়। যদিও ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকারে করে আসছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায় ভারত। শুক্রবার রাত থেকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান 'অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ম রস স
এছাড়াও পড়ুন:
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত দোকানকর্মী নিজেই এখন তিন পিৎজা দোকানের মালিক
দিনটার কথা মনে পড়লে এখনো অসুস্থ হয়ে পড়ি। আগুন থেকে বাঁচতে পাঁচতলার টয়লেটে আশ্রয় নিয়েছিলাম আমরা তিন সহকর্মী। টয়লেটের জানালা ছিল বেশ বড়। সেটা খুলে কার্নিশে গিয়ে অবস্থান নিই। পাশের ভবন থেকে একজন ১০-১২ ফুট লম্বা পানি ছিটানোর একটা নরম পাইপ আমাকে ছুড়ে দেয়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে সেটা বেয়ে নিচে নামার সময় ছিঁড়ে গেল। তিনতলায় এসির আউটডোরের ওপর পড়ে গেলাম। মাথায় প্রচণ্ড বাড়ি খেয়েছি, টের পেলাম। এরপর আরেকটা কার্নিশে ধাক্কা খেয়ে একেবারে নিচে গিয়ে পড়ি। দুই দফায় ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ার কারণেই হয়তো প্রাণে বেঁচে যাই। প্রায় এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। মাথায় অন্তত ২০টি সেলাই পড়েছিল। পাঁজরের হাড়ও ভেঙে গিয়েছিল।
প্রায় তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। তখন শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, বড় কোনো বিল্ডিংয়ে আর চাকরি করব না। বড় বিল্ডিং, বদ্ধ পরিবেশে রান্না—এসব শুনলেই তখন আতঙ্ক লাগত। সেই আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তাই তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজেই একটা ব্যবসা শুরু করব। ওই অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা দুই সহকর্মী শাকিল আর সিয়ামকে ব্যবসার পরিকল্পনার কথা জানালাম। তাঁরাও আমার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলেন। তিনজনেরই যেহেতু পিৎজা বানানোর অভিজ্ঞতা আছে, তাই পিৎজার দোকানই দেব ঠিক করলাম। সব মিলিয়ে আমাদের পুঁজি এক লাখ টাকা। আমার জমানো ৫০ হাজার আর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিলেন শাকিল আর সিয়াম।
সাইফুল ইসলামের ‘পিৎজা ৪৮’