‘তরুণ সমাজের শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই’
Published: 8th, November 2025 GMT
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “২৪-এর অভ্যুত্থানের কষ্টের মাঝে, তরুণদের ক্ষতবিক্ষত চেহারার মাঝে আমি দেখতে পাই নতুন নেতৃত্বের জন্ম। দেখতে পাই নতুন আলোয় আলোকিত হচ্ছে আমার দেশ। আমি চাই তরুণ সমাজের শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে একসাথে নতুন বাংলাদেশ গড়ি।’’
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ অডিটরিয়ামে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক তরুণ প্রতিনিধি দলের কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “আমরা যে সাম্যের, ন্যায়ের, গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নের পথে হাঁটতে হাঁটতে তোমাদের তারুণ্যের দ্বারে এসে পৌঁছেছি। আমরা তরুণ প্রজন্ম এই সময়ের মুক্তিযোদ্ধা। আজ শপথ নিচ্ছি অন্যায়, দুর্নীতি, বৈষম্য, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দারিদ্র্যের অপমান থেকে মুক্ত করব আমাদের গ্রাম, শহর ও প্রিয় মাতৃভূমিকে। পুরুষের আত্মশক্তি আর নারীর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা ভারসাম্যের সৃষ্টি করব।”
নারী ও শিশু নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “ঘর থেকে রাস্তায়, বিদ্যাপীঠ থেকে কর্মক্ষেত্র এবং সাইবার স্পেস—সর্বত্রই নারী ও শিশুর জন্য গড়ে তুলব নিরাপদ পরিবেশ।”
“আমরা সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নই, আদিবাসী বা অনাদিবাসী নই, নারী বা পুরুষ নই—আমরা সবাই নাগরিক। সমাজের তরুণরা হাতে হাত রেখে একটি যত্নশীল রাষ্ট্র গড়বে, সম্প্রীতির নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে, এবং গড়বে নতুন বাংলাদেশ।”
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে নিরাপদ অ্যালায়েন্স এবং ড্রিমস অন দ্য ওয়ে। এতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড.
ঢাকা/এএএম//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই শাহবাগে টেকসই অর্থায়নের দাবি
কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”
অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী