বাংলাদেশে মুঠোফোননির্ভর আর্থিক সেবা গ্রহণকারীদের ৬০ শতাংশ গ্রাহকই ফিচার বা বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য আরও পণ্য উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে। আবার প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার খরচ ও জটিলতা কমিয়ে এনে গ্রাহকসেবাকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গত কয়েক বছরে এর গ্রাহক গ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট ও তৃতীয় ফিনটেক পুরস্কার আয়োজন। মাস্টারকার্ড ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সহায়তায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ফিউচার অব ফিনটেক: ডিজিটাল, ডিসেন্ট্রালাইজড, ডেমোক্রেটাইজ’।

আজ রাতে ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় তিনি বলেন, অনেক মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তা হচ্ছেন বাংলাদেশের জন্য। ফিনটেকখাতে অনেক তরুণ কাজ করছে। ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরির জন্য আমাদের সকল সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দ্রুত বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক কাজ শুরু করবে। দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বড় নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। আমরা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন জনপ্রিয় করার কাজ করছি।

ফিনটেক সামিটে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিনটেক খাত গড়ে তুলতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিতে হবে।’

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির অ্যাডিশনাল এমডি ওসমান এরশাদ ফায়েজ বলেন, অর্থবহ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শুধু ডিজিটালাইজেশনে থেমে না থেকে ক্রেডিট, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স ও ওয়েলথ টুলসের মাধ্যমে ফান্ডিং তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। এআই-ড্রিভেন ক্রেডিট স্কোরিং, ইউনিফায়েড কেওয়াইসি পোর্টাল এবং শক্তিশালী সাইবার গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে ডিজিটাল ফিন্যান্স খাত এসএমই ঋণ বাড়াতে এবং বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ফিনটেক সামিটের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ নট ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দিগুবাবুর বাজারে অভিযান : ৯০০ কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা  

নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগুবাবুর বাজারে পরিচালিত অভিযানে ৯শ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই দোকানিকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার রাতে র‌্যাব-১১, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান। 

র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর ইনচার্জ আল মাসুদ খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক দোকানে ১০ হাজার ও অন্য দোকানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান জানান, পরিবেশের ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার রোধে অভিযান পরিচালিত হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের পলিথিন বিক্রি বন্ধ না করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও তিনি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমাজের সবাইকে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ