রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের ভেতরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিদ্যালয়ের তিন নম্বরের ফটকের ভেতরে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বিদ্যুৎ ছিল না। ঠিক সেই সময় ৩ নম্বর ফটকের বাইরে থেকে একটি ককটেল ভেতরে ছুড়ে মারা হয়। এতে বিস্ফোরণ হয়। কেউ হতাহত হয়নি। কে বা কারা ককটেল ছুড়েছে, সেটি তারা দেখেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার দুপুরে সেন্ট যোসেফ স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরী রায়হান ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন না। সকালে এসে বিস্ফোরণের খবর জেনেছেন। রাতে নিরাপত্তা প্রহরী ডিউটিতে থাকলেও ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকায় কারা ককটেল ছুড়েছে, সেটি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কে বা কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরির আবেদন করা হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। অন্ধকার থাকায় ফুটেজে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়ে সময় নিয়ে কাজ করছি।’

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রমনা এলাকায় অবস্থিত সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল গির্জায়ও দুটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে সেটি নিষ্ক্রিয় করে। এ ঘটনায়ও কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল ব স ফ র

এছাড়াও পড়ুন:

দিগুবাবুর বাজারে অভিযান : ৯০০ কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা  

নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগুবাবুর বাজারে পরিচালিত অভিযানে ৯শ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই দোকানিকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার রাতে র‌্যাব-১১, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান। 

র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর ইনচার্জ আল মাসুদ খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক দোকানে ১০ হাজার ও অন্য দোকানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান জানান, পরিবেশের ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার রোধে অভিযান পরিচালিত হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের পলিথিন বিক্রি বন্ধ না করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও তিনি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমাজের সবাইকে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ