ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
Published: 8th, November 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের কাজী রাজীব উদ্দীন চপল।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এশিয়ান আর্চারি কংগ্রেসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯-৯ ভোটের ব্যবধানে টানা পাঁচবারের এবং বর্তমান সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়ার টমাস হানকে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন চপল। এর আগে দুই মেয়াদে ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন চপল। কোরিয়ার বৃহৎ কোম্পানি হুন্দাই গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা টমাস হান ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।
চপল শুধু একজন অভিজ্ঞ সংগঠকই নন, পৃষ্ঠপোষকও। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব আর্চারিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এর আগে দুই মেয়াদে ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক চপল।
ঢাকা/ইয়াসিন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরের সেই সাজ্জাদ এখন আমিরাতের কোচ হয়ে ঢাকায়
১৬ বছর আগে কলকাতায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। আজ তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় আর্চারি দলের কোচ হিসেবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে পা রাখতেই যেন ফিরে গেলেন সেই সোনালি দিনে, যেদিন তিনি বাংলাদেশের আর্চারিতে ইতিহাস রচনা করেছিলেন।
২০০৯ সালের এপ্রিলে কলকাতায় হয়েছিল চতুর্থ এশিয়ান গ্রাঁ প্রি আর্চারি টুর্নামেন্ট। রিকার্ভ এককে ইরানের আর্চারকে হারিয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান সাজ্জাদ। সেটিই ছিল বাংলাদেশের আর্চারি ইতিহাসে এশীয় স্তরে প্রথম সোনা। এর দুই মাস পর ক্রিকেটে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারে সাজ্জাদের একটাই আন্তর্জাতিক সোনা। ২০১০ সালে এসএ গেমসে রুপা, আর দক্ষিণ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপেও রুপা জেতেন তিনি। রিকার্ভ ছেড়ে ২০১১–১২ সালে নামেন কম্পাউন্ডে। তবে ২০১২ সালের পর সিদ্ধান্ত নেন, এবার সময় অন্য কিছু করার। আর্চারি মাঠে থাকবেন, তবে কোচ হিসেবে।
বাংলাদেশে কোচিং শুরু আনসারে। পরে কাজ করেছেন বিকেএসপি আর সেনাবাহিনীতে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ছিলেন জাতীয় দলের কোচ। ২০১৬ সালে ভারতের এসএ গেমসেও গিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। ২০২১ সালে মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু করেন নতুন যাত্রা।
আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে প্রথম আলোকে সাজ্জাদ বললেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে আর্চারির সুযোগ-সুবিধা আছে, কিন্তু খেলোয়াড়ের স্বল্পতা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে খেলোয়াড়েরা খেলার প্রতি পাগল, কিন্তু এখানে অনেকেই শখের জন্য খেলে। তবে একটা জিনিস ভালো, ফল আসতে দেরি হলে কেউ তাড়াহুড়ো করে না। কোচ-খেলোয়াড়, সবাইকে সময় দেওয়া হয়।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে সাজ্জাদ হোসেন