কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।

ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.

৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।

পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”

অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জলব য জলব য

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানিতে সামার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন

জার্মানির হেলমহোল্টজ জেনট্রাম বার্লিন (Helmholtz Zentrum Berlin-HZB) তাদের এইচজেডবি সামার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৬–এর জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। এই আন্তর্জাতিক সামার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ সপ্তাহের গবেষণা ও কাজের সুযোগ দিচ্ছে।

প্রোগ্রাম সম্পর্কে

এইচজেডবি সামার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ৬ জুলাই থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। মোট ২০ জন স্নাতক শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হবে, যাঁরা নিজেদের গবেষণা প্রকল্পে বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ফোটন সায়েন্স, ফোটোভোলটাইকস, সোলার সেল, ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল এনার্জি স্টোরেজ, কোয়ান্টাম ও ফাংশনাল ম্যাটেরিয়ালস এবং অ্যাক্সিলারেটর রিসার্চসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ পাবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

–প্রোগ্রামটি সব দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

–আবেদনকারীদের অবশ্যই স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী হতে হবে; পিএইচডি শিক্ষার্থীরা যোগ্য নন।

–শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, বিজ্ঞান, কাঠামোগত জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান বা পরিবেশবিজ্ঞানসম্পর্কিত বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকতে হবে।

–কমপক্ষে দুই বছরের পূর্ণকালীন পড়াশোনা সম্পন্ন করতে হবে।

–ইন্টার্নশিপ চলাকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত থাকতে হবে।

–ইংরেজিতে দক্ষতা আবশ্যক, তবে জার্মান ভাষা জানলে অগ্রাধিকার থাকবে।

–আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি রেফারেন্স লেটার জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনে অনুসরণ করতে হবে ৫টি ধাপ ০৫ নভেম্বর ২০২৫

সুযোগ-সুবিধা

–সব অংশগ্রহণকারী ৮ সপ্তাহের জন্য অফিশিয়াল ইন্টার্নশিপ কনট্র্যাক্ট পাবেন।

–বেতনসহ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম।

–আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পাবেন ১ হাজার ৯০০ ইউরো ভাতা, আর বার্লিন বা পটসডামের শিক্ষার্থীরা পাবেন ১ হাজার ইউরো।

–ভ্রমণব্যয়ের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত (ইইউ দেশগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ ইউরো এবং নন-ইইউ দেশগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০০ ইউরো) প্রদান করা হবে।

–ইন্টার্নরা আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, সঙ্গে থাকবে সাইট ভিজিট, ওয়ার্কশপ ও এক্সকারশন।

–সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আইইএলটিএস বা টোয়েফলের কোনো প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুনজার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ: জেনে নিন নিয়ম ও সুবিধা০৬ নভেম্বর ২০২৫

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট

সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার একাডেমিক সিভি

বিশ্ববিদ্যালয়ের এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট

রেফারেন্স লেটার

এনরোলমেন্ট ঘোষণাপত্র (বিশ্ববিদ্যালয়ের সিল ও স্বাক্ষরসহ)

পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের কপি

আবেদনপ্রক্রিয়া

পুরো আবেদনপ্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।

১. অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ‘Apply Now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

২. ফর্ম পূরণ করে সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।

আবেদন জমাদানের শেষ তারিখ

১৪ ডিসেম্বর ২০২৫।

আরও পড়ুনআরব আমিরাতের সেরা ১০ স্কলারশিপ: এভিয়েশন–মেডিকেলে পড়াশোনা ০৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাথমিকে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গানের মিছিল
  • মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা: আয়োজক কর্মকর্তার অশোভন আচরণের যে জবাব দিলেন অংশগ্রহণকারীরা
  • ইসলামে ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের সংস্কৃতি
  • জার্মানিতে সামার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন
  • সমতা ও সহনশীলতা: মুসলিম সভ্যতার দুটি অনন্য বৈশিষ্ট্য
  • শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা
  • বগুড়ায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনব্যাপী পুষ্টিমেলা