চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনের প্রচার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ এবং ইবি শাখা সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

জিয়াউর রহমান স্থাপিত ইবির ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

এতে বাংলাদেশে জুলাই ও আগস্ট ২০২৪ সালের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের বাস্তবচিত্র জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন, যার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলির মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বাস্তবতা, তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইবি শাখার সভাপতি রাহাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আল কুরআন বিভাগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মিঝি, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও সোচ্চারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।    

সেমিনারের সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতিসংঘের গর্ভনেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ও লিগ্যাল সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগের প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও সোচ্চার ট্রমা ম্যানেজমেন্ট ও সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘের গর্ভনেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, “জাতিসংঘ সারাবিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়া ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।”

প্রতিবেদনে মানবাধিকার রক্ষায় পাঁচটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন। সুপারিশগুলো হলো- জবাবদিহিতা ও বিচার বিভাগ নিশ্চিত করা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বিভাগের অসামরিকীকরণ, নাগরিক পরিসর বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সুশাসন নিশ্চিত করা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নব ধ ক র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক

টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।

রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএ পোর্টের মুনাফা এক বছরে ৬৩ শতাংশ বেড়েছে
  • মেক্সিকোতে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ কতটা সত্য
  • বিএনপির ৩১ দফা: পাঠ ও বিবেচনা
  • বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী
  • পাকিস্তানের টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত গোপালগঞ্জের রতন
  • বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে
  • ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
  • প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
  • কানাডায় পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট, যে ১০ ভুলে বাতিল হয় আবেদন