ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র, মোকাবেলায় প্রস্তুত বিএনপি ও জনগণ : রাজিব
Published: 8th, November 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের রূপরেখা জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আলীরটেক ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি আলীরটেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার, পাড়া-মহল্লা, দোকানপাট ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
গণসংযোগকালে মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, “একটি গোষ্ঠী সবসময়ই ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বিএনপি ও দেশের জনগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দীর্ঘ ১৬ বছর জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার জনগণ সেই অধিকার ফিরিয়ে নিতে রাজপথে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময় জনগণের উপর আস্থা রাখে। বিএনপি কোনো বিদেশি এজেন্ডায় বিশ্বাসী নয়, আমরা কাজ করি দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভিত্তি করে। জাতীয়তাবাদী দল জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিফলন হিসেবেই রাজনীতি করে।”
রাজিব বলেন, “জননেতা তারেক রহমান জাতির সামনে যে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছেন, তা শুধুমাত্র বিএনপির নয়, বরং এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের দফা।
কৃষক, শ্রমিক, নারী, ছাত্র, চিকিৎসকসহ সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আলোচনা করেই এই দফাগুলো তৈরি করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে ও ভোট দিতে পারে এটাই বিএনপির মূল চাওয়া। সেই লক্ষ্যেই আমরা ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তারেক রহমানের বার্তা আলীরটেক ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।”
লিফলেট ও গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরকার, সহ-সভাপতি জামাল সরদার, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, যুবদল নেতা নাজমুল হাসান, জাহিদুল হাসান, মেহেদী হাসান শ্যামল,আরিফ হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ সরকার, আলীরটেক ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ জেলা বিএনপি এবং আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ষড়যন ত র ব এনপ র র জনগণ ল ফল ট রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাসদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল, ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৮তম বার্ষিকী আজ ৭ নভেম্বর, শুক্রবার। দিনটি উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানী ঢাকায় লাল পতাকা মিছিল করেছে বাসদ। এর আগে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় ‘বাম বিকল্প’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও বায়তুল মোকাররম ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর বাসদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সময়ের পরিক্রমায় দলটি কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিলের আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় বাম বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে নেতারা বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাল। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও গণমানুষের স্বার্থের বদলে সংস্কার, আদেশ, গণভোট ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে সময়ক্ষেপণ করছে।
বাসদের নেতারা বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরও বৈষম্যবিরোধী চেতনার বিপরীতেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকের চাকরি, মজুরি, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, বেকারত্ব দূর করা, নারীদের লাঞ্ছনা, অপমান ও নির্যাতন রোধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্র কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও সম্প্রতি নির্বাচন বানচালের নানামুখী ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। খুনোখুনিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে।
নেতারা মনে করেন, নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশকে আরও ভয়ানক সংকটে ঠেলে দেবে। দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।