কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা থেকে কুতুবদিয়া দরবার ঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১০ সাঁতারু। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বিওডব্লিউএস) আয়োজনে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি তিন বছর ধরে এই চ্যানেলে সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে।

বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০ জন সাঁতারু বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে নিবন্ধন করেন। তাঁরা হলেন ফাহিম আহমেদ খান, নাছির আহমেদ, খন্দকার শওকত ওসমান, মো.

নাজমুল হক, এস আই এম ফেরদৌস আলম, আবদুল্লাহ আল সাবিত, রাব্বি রহমান, মো. মোজ্জিম হোসেন, মোহামদ তাইওয়ার ও মো. আল আমিন। তাঁদের মধ্যে  ইংলিশ চ্যানেল পাড়িয়ে দেওয়া সাঁতারু যেমন আছেন, তেমনি বাংলা চ্যানেল পাড়িয়ে দেওয়া সাঁতারুও রয়েছেন।

বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং সূত্র জানায়, ১২টা ৪ মিনিটে গন্তব্য স্থান কুতুবদিয়ার দরবার জেটিতে পৌঁছান ১৮ বছর বয়সী রাব্বি রহমান। তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট। ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট সাঁতার কেটে নাজমুল হক দ্বিতীয় এবং ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটে কুতুবদিয়া পৌঁছে তৃতীয় হন এস আই এম ফেরদৌস আলম।

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার পর কথা হয় সাঁতারু নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেলের জোয়ার-ভাটার টান উপেক্ষা করে সাঁতারুরা তাঁদের অসাধারণ দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। সবার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে ইভেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ইংলিশ চ্যানেল সফলভাবে পাড়ি দিয়েছিলাম। আজ কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলাম। খুবই ভালো লাগছে।’

১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রাব্বি রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তিনবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। এবার কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলাম। ভবিষ্যতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন আছে। অন্য চ্যানেলের পানি নীল বা স্বচ্ছ থাকে। কুতুবদিয়া চ্যানেলের পানি ঘোলাটে ও বালুময়। এ কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে গাইডদের নির্দেশনায় সঠিকভাবে চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরেছি।’

​আয়োজকেরা জানান, পর্যটনের বিকাশ, নদীতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।  মানুষের মধ্যে সাঁতারের গুরুত্ব ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি কক্সবাজার অঞ্চলে নদীভিত্তিক পর্যটন এবং ওয়াটার স্পোর্টসকে আরও জনপ্রিয় করতে সহায়ক হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত বদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলেন ১০ সাঁতারু

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা থেকে কুতুবদিয়া দরবার ঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১০ সাঁতারু। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বিওডব্লিউএস) আয়োজনে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি তিন বছর ধরে এই চ্যানেলে সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে।

বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০ জন সাঁতারু বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে নিবন্ধন করেন। তাঁরা হলেন ফাহিম আহমেদ খান, নাছির আহমেদ, খন্দকার শওকত ওসমান, মো. নাজমুল হক, এস আই এম ফেরদৌস আলম, আবদুল্লাহ আল সাবিত, রাব্বি রহমান, মো. মোজ্জিম হোসেন, মোহামদ তাইওয়ার ও মো. আল আমিন। তাঁদের মধ্যে  ইংলিশ চ্যানেল পাড়িয়ে দেওয়া সাঁতারু যেমন আছেন, তেমনি বাংলা চ্যানেল পাড়িয়ে দেওয়া সাঁতারুও রয়েছেন।

বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং সূত্র জানায়, ১২টা ৪ মিনিটে গন্তব্য স্থান কুতুবদিয়ার দরবার জেটিতে পৌঁছান ১৮ বছর বয়সী রাব্বি রহমান। তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট। ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট সাঁতার কেটে নাজমুল হক দ্বিতীয় এবং ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটে কুতুবদিয়া পৌঁছে তৃতীয় হন এস আই এম ফেরদৌস আলম।

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার পর কথা হয় সাঁতারু নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেলের জোয়ার-ভাটার টান উপেক্ষা করে সাঁতারুরা তাঁদের অসাধারণ দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। সবার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে ইভেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ইংলিশ চ্যানেল সফলভাবে পাড়ি দিয়েছিলাম। আজ কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলাম। খুবই ভালো লাগছে।’

১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রাব্বি রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তিনবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। এবার কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলাম। ভবিষ্যতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন আছে। অন্য চ্যানেলের পানি নীল বা স্বচ্ছ থাকে। কুতুবদিয়া চ্যানেলের পানি ঘোলাটে ও বালুময়। এ কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে গাইডদের নির্দেশনায় সঠিকভাবে চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরেছি।’

​আয়োজকেরা জানান, পর্যটনের বিকাশ, নদীতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।  মানুষের মধ্যে সাঁতারের গুরুত্ব ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি কক্সবাজার অঞ্চলে নদীভিত্তিক পর্যটন এবং ওয়াটার স্পোর্টসকে আরও জনপ্রিয় করতে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ