সাম্প্রতিক সময়ে সাইনবোর্ড গিরিধারায় তিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের আয়োজনে  এই প্রতিবাদ  সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপত্বিতে ও সাধারান সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুমে সঞ্চালনায় সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেন তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে বক্তারা বলেন। পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।

বক্তারা আরও বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পথে যেকোনো ধরনের বাধা অগ্রহণযোগ্য। হামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভয় দেখানো যাবে না। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন,  বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ মাহফুজ জাহিদ, নিউজ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি শরীফ সুমন, জাগো নিউজের প্রতিনিধি মোঃ আকাশ, ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবে অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম, দপ্তর সম্পাদক এমএ সুমন, পম আজিজ, মাসুদ আলী,সোহেল রানা, আরিফ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, আজমীর ইসলাম, এমএইচ রাসেল, মোকলেছুর রহমান তোতা, সোহান, বিশ্বজিৎ দাস, মুন্না, সাব্বির আহমেদ, সুমী প্রমুখ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অচলাবস্থা চলতে থাকলে ২০ শতাংশ ফ্লাইট চলাচল কমিয়ে দেওয়া হবে: ট্রাম্প প্রশাসন

বাজেট পাসকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে যে অচলাবস্থা (শাটডাউন) তৈরি হয়েছে, তা চলতে থাকলে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে তাদের ফ্লাইট চলাচল ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি গতকাল শুক্রবার এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

শাটডাউনকে কেন্দ্র করে সরকারি নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকেই ফ্লাইট কমাতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) বলেছে, গতকাল দেশের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ৪ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করতে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাটডাউন শেষ না হলে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।

শুক্রবার উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা অনুপস্থিত থাকার কারণে আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকো, হিউস্টন, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্কসহ ১০টি বিমানবন্দরে কয়েক শ ফ্লাইট দেরি করে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এফএএ।

ফ্লাইট চলাচলের ওপর নজর রাখা ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য বলছে, স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।

রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে চার ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হয়েছে। ১৭ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং প্রায় ৪০ শতাংশ ফ্লাইটে দেরি হয়েছে।

রেকর্ড ৩৮ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন বা অচলাবস্থা চলছে। এই সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী ১৩ হাজার কর্মী এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা পরিদর্শককে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় উদ্বেগজনকভাবে কর্মীদের উপস্থিতি কমছে। উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকা কর্মীদের গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহেও তাঁরা দ্বিতীয় দফায় কোনো বেতন পাবেন না।

গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো শুরু করেছে। এর মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা, সাউথওয়েস্ট ও ইউনাইটেডের মতো বড় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোও আছে। এই চার সংস্থার প্রায় ৭০০টি ফ্লাইট কমানো হয়েছে।

ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম চালু করতে তহবিল বরাদ্দের জন্য কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয়কে এ ধরনেরই একটি তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, এই শাটডাউনের জন্য রিপাবলিকানরাই দায়ী। কারণ, তাঁরা স্বাস্থ্যবিমায় ভর্তুকি বাড়ানো সংক্রান্ত আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এবং আরও বেশিসংখ্যক নিয়ন্ত্রণকর্মীর অনুপস্থিতি দেখা গেলে, তিনি উড়োজাহাজ চলাচলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে পারেন।

ডাফি বলেন, ‘আমি তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। আকাশপথে যা দেখা যাচ্ছে, তার ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

রেকর্ড ৩৮ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন বা অচলাবস্থা চলছে। এই সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী ১৩ হাজার কর্মী এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা পরিদর্শককে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় উদ্বেগজনকভাবে কর্মীদের অনুপস্থিতি বেড়েছে। উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহেও তাঁরা দ্বিতীয় দফায় কোনো বেতন পাবেন না।

গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো শুরু করেছে। এর মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা, সাউথওয়েস্ট ও ইউনাইটেডের মতো বড় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোও আছে। এই চার সংস্থার প্রায় ৭০০ ফ্লাইট কমানো হয়েছে।

কয়েক দফা চেষ্টার পরও সিনেটে ব্যয় বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে অচলাবস্থা চলছে। ডেমোক্র্যাটরা ব্যয় বিলে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিপরীতে রিপাবলিকানরা শুধুই একটি ব্যয় বিলের জন্য চাপ দিচ্ছে। দুই পক্ষ একমত না হওয়ায় সিনেটে কয়েক দফা ভোটাভুটির পরও বিলটি পাস হয়নি। ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন। সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির ভোট ৫৩টি।

আরও পড়ুনকংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন০১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ