প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ছায়ানট।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে শিল্পী-শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা এক সারিতে দাঁড়িয়ে গানে গানে এ আহ্বান জানান।

শিল্পী-শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী মিলিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষের অংশগ্রহণে এ আয়োজন শুরু হয় সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব, বিষম ঝড়ের বায়ে’ গানটি দিয়ে। এরপর কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ‘ও ভাই, খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’, লালনগীতি ‘এমন মানব জনম আর কি হবে’ গাওয়া হয়। সবার শেষে ছিল জাতীয় সংগীত।

গানের পর ছায়ানটের সভাপতি ডা.

সারওয়ার আলী বক্তব্য বলেন, ‘যারা মনে করে যে সংগীতের শক্তি বক্তৃতার চাইতে অনেক শক্তিশালী। আর তাই সংগীতের মধ্য দিয়েই আজকে আমাদের এই আয়োজন ছিল।’

সারওয়ার আলী বলেন, ‘সম্প্রতি যে অস্থিরতা আমরা লক্ষ করছিলাম, আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের নয় শুধু, সর্বজনের মনে হয়েছে, সরকারেরও মনে হয়েছিল যে তাদের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য, দেশে একটি মানবিক সমাজ, যে সমাজ উদার ও সহিষ্ণু, তেমন সমাজ গড়ার জন্য, সংগীতচর্চা ও শারীরিক চর্চা খুব প্রয়োজন।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের সামনে আজ শনিবার বিকেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বানে ছায়ানটের কর্মসূচিতে অংশ নেন সংস্কৃতিকর্মীরা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আহ ব ন ছ য় নট

এছাড়াও পড়ুন:

ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব: সপু

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে কিছু প্রশ্ন থাকলেও শেষ পর্যন্ত ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার জমজম টাওয়ার থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।

আরো পড়ুন:

বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা. জাহিদ  

বিএনপির ৩১ দফা: পাঠ ও বিবেচনা

পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মীর সরফত আলী সপু বলেন, ‘‘মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, চূড়ান্তভাবে ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিকেই দল মনোনয়ন দেবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেছেন— আঙুল বাঁকা করতে হবে। এমন বক্তব্যে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আঙুল বাঁকা হয়, আমাদের আঙুলও সোজা থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করে সফল হওয়া যাবে না।’’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য মমিন আলী, আব্দুল কুদ্দুস ধীরন, শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মমীন আলী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গণসংযোগ করছিলেন মীর সরাফত আলী ও মমীন আলী। তারা মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন। সেই দিক থেকে মাঠের রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না শেখ মো. আবদুল্লাহ। শেখ মো. আবদুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে সরাফত আলী ও মমীন আলীসহ তাদের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা যায়।

ঢাকা/রতন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ