Risingbd:
2025-11-08@14:33:06 GMT

বিদায় গামিনি…

Published: 8th, November 2025 GMT

বিদায় গামিনি…

কালো প্যান্ট। গায়ে প্রিন্টের নীল শার্ট। পরিপাটি পোশাকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে পায়চারি করছিলেন গামিনি ডি সিলভা। এমন পোশাকে তাকে মিরপুরে দেখা যায়নি কখনো। চিরচেনা হ্যাটও নেই মাথায়!

অচেনা সেই মানুষটিই আজ শেষবারের মতো হাঁটলেন মিরপুরের সবুজ গালিচায়। মিরপুরের ঘাস, উইকেট আর আউটফিল্ডে যার হাতের ছোঁয়া লেগে আছে দীর্ঘ দেড় দশক, সেই লঙ্কান কিউরেটর গামিনি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে। সহকর্মী ও মাঠকর্মীরা তাকে মাঠেই নিজেদের আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন। আর ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসে ডেকে সেরেছেন আনুষ্ঠানিকতা। দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট। বিদায়ের মুহূর্তে প্রত্যেকের উপহার ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গামিনি। সহকর্মী অনেকের চোখে-মুখে ছিল আবেগের ছাপ।

২০১০ সালের অক্টোবরে ২ বছরের জন্য বিসিবিতে যোগ দেন আম্পায়ার থেকে কিউরেটর হওয়া এই লঙ্কান। দফায় দফায় চুক্তির মেয়াদ বেড়ে দেড় দশক কাটিয়ে দেন। তার হাতেই ছিল মিরপুরের উইকেট তৈরির দায়িত্ব। তবে গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে মানহীন পিচ বানিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। পাকিস্তানের অধিনায়ক ও কোচ প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন উইকেটের মান নিয়ে।

সেই সমালোচনা সহ্য করতে চায়নি বিসিবি। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছরের দায়িত্ব শেষে গামিনিকে বদলি করে পাঠানো হয় রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে। মিরপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত পিচ কিউরেটর টনি হেমিংয়ের হাতে।

তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল গামিনিকে আর রাখা হবে না। চলতি বছরের জুলাইয়ে তার সঙ্গে নতুন করে এক বছরের চুক্তি করেছিল বিসিবি। তবে সেই চুক্তির ৯ মাস বাকি থাকতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন গামিনি। শর্ত অনুযায়ী দুই মাসের বেতন দেওয়া হচ্ছে তাকে। ১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় ফিরে যাবেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে সহকর্মীকে হত্যার দায়ে পুলিশ দম্পতির ফাঁসির আদেশ

পুলিশ সদস্যকে হত্যার দায়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ময়মনসিংহের একটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হারুন-অর রশিদ।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কনস্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কনস্টেবল নাসরিন নেলী। আলাউদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে কনস্টেবল নাসরিন নেলীর সঙ্গে সহকর্মী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জের ধরেই ঘটে হত্যাকাণ্ড। ওই বছরের আগস্টে ময়মনসিংহ শহরের কাঁচিঝুলি এলাকায় নেলীর ভাড়া বাসায় সাইফুল ইসলামকে খুন করেন নেলী ও তাঁর স্বামী আলাউদ্দিন। হত্যার পর তাঁরা সাইফুল ইসলামের লাশ বস্তাবন্দী করে গুম করার চেষ্টা করেন। তবে নগরীর টাউন হল মোড়ে পুলিশের তল্লাশির সময় বস্তাবন্দী লাশসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন তাঁরা।

ওই ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলামের মা মুলেদা বেগম ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল আলাউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরও দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ আদালত পরিদর্শক পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় দুজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লকডাউনের দিনগুলোতে ভ্যাট–যুদ্ধ
  • ময়মনসিংহে সহকর্মীকে হত্যার দায়ে পুলিশ দম্পতির ফাঁসির আদেশ
  • ময়মনসিংহে সাবেক পুলিশ ও তার স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড