মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নড়াইল জেলার ৩টি উপজেলা, একটি থানা ও ৩টি পৌরসভা কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান (সনি) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘প্রথম’ ঢাবিতে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর করা সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নড়াইল জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নড়াইল সদর উপজেলা শাখা, লোহাগড়া উপজেলা শাখা, কালিয়া উপজেলা শাখা, নড়াগাতি থানা শাখা, নড়াইল পৌর শাখা, লোহাগড়া পৌর শাখা ও কালিয়া পৌর শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগির এই ৭ ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি ফরিদ হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান (সনি) এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/শরিফুল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল ন ছ ত রদল র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিষাক্ত হয়ে গেছে গাজার পানি

গাজার উপর ইসরায়েলের যুদ্ধ কেবল পুরো এলাকা ধ্বংস করে দেয়নি, বরং পরিবারগুলোকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত করেছে এবং চিকিৎসা সুবিধা ধ্বংস করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি হামলা ফিলিস্তিনিদের ভূমি ও পানিকে বিষাক্ত করেছে।

চার সপ্তাহ ধরে চলা ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি, যা ইসরায়েল প্রতিদিন লঙ্ঘন করে আসছে, পরিবেশগত ধ্বংসের মাত্রা বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায়, যা একসময় একটি প্রাণবন্ত এলাকা ছিল, তা এখন একটি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং একটি অপরিহার্য পানির উৎস এখন পয়ঃবর্জ্য এবং ধ্বংসাবশেষে ভরা। 

গর্ভবতী এবং বাস্তুচ্যুত উম্মে হিশাম তার সন্তানদের নিয়ে নোংরা পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, “আমরা এখানে শেখ রাদওয়ান পুকুরের আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছিলাম, আপনি কল্পনা করতে পারেন এমন সমস্ত দুর্ভোগের সাথে, মশা থেকে শুরু করে ক্রমবর্ধমান পয়ঃনিষ্কাশন পর্যন্ত, চারপাশে ধ্বংসস্তূপতো রয়েছেই। এই সবকিছুই আমাদের জীবন এবং আমাদের শিশুদের জীবনের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।”

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য তৈরি এই পুকুরটি এখন পয়ঃবর্জ্য দিয়ে ভরা। কারণ ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাম্পগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে দূষিত পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আশেপাশের বাড়িঘর ও তাঁবুগুলোকে গ্রাস করার হুমকি দিচ্ছে।

গাজা শহরের পৌর কর্মকর্তা মাহের সালেম বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই যে এর ফলে সব নাগরিকের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে: দুর্গন্ধ, পোকামাকড়, মশা। এছাড়া কোনো সুরক্ষা ছাড়াই দুর্গন্ধযুক্ত পানির স্তর ছয় মিটার ছাড়িয়ে গেছে; বেড়াটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, যেকোনো শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ এমনকি একটি গাড়িও এই পুকুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”

স্থানীয় কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জমে থাকা পানি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। তবুও গাজার অনেকের কাছে এর কোনো বিকল্প নেই।

আল-জাজিরার স্থানীয় সংবাদদাতা বলেছেন, “পরিবারগুলো জানে যে, তারা কূপ, পাত্র বা পানির ট্রাক থেকে যে পানি পান করে তা দূষিত … কিন্তু তাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ