মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে কিছু প্রশ্ন থাকলেও শেষ পর্যন্ত ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার জমজম টাওয়ার থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।

আরো পড়ুন:

বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা.

জাহিদ  

বিএনপির ৩১ দফা: পাঠ ও বিবেচনা

পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মীর সরফত আলী সপু বলেন, ‘‘মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, চূড়ান্তভাবে ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিকেই দল মনোনয়ন দেবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেছেন— আঙুল বাঁকা করতে হবে। এমন বক্তব্যে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আঙুল বাঁকা হয়, আমাদের আঙুলও সোজা থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করে সফল হওয়া যাবে না।’’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য মমিন আলী, আব্দুল কুদ্দুস ধীরন, শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মমীন আলী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গণসংযোগ করছিলেন মীর সরাফত আলী ও মমীন আলী। তারা মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন। সেই দিক থেকে মাঠের রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না শেখ মো. আবদুল্লাহ। শেখ মো. আবদুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে সরাফত আলী ও মমীন আলীসহ তাদের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা যায়।

ঢাকা/রতন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীকে দেখে স্লোগান দিয়ে নদীতে লাফ

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। ঢাকা থেকে তার বাড়ি ফেরার সংবাদে নদীপাড়ে জড়ো হন অসংখ্য সমর্থক। এ সময় তাকে আসতে দেখে কয়েকজন সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পাড়ে ঘটনাটি ঘটে। 

এ দিন মাহবুবুর রহমান স্পিডবোটে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে নদী পাড়ে হাজারো সমর্থক উপস্থিত হন। তাকে বহনকারী স্পিডবোট পাড়ের দিকে এগিয়ে আসার সময় কয়েকজন সমর্থক ‘মাহবুবুর ভাই’ ‘মাহবুবুর ভাই’ স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপ দেন এবং তারা সাঁতরে স্পিডবোটের কাছে চলে যান। এ সময় মাহবুবুর রহমান তাদের স্পিডবোটে তুলে নেন এবং সবাইকে নিয়ে জামালগঞ্জ রিভার ভিউয়ের মাঠে পথসভায় যোগ দেন। 

পথসভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কখনো কোনো আন্দোলনে পিছনে ফিরে তাকাইনি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গ্রেনেড হামলায় আমার বাম কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সব  ধরনের সহযোগিতা করেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেও কাজ করেছি।’’

‘‘আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমি আপনাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আপনারা অশ্রুসিক্ত নয়নে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি সেই ভালোবাসা নিয়ে আজীবন জনকল্যাণে কাজ করে যাব।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারেক জিয়া আমার নেতা। ধানের শীষ আমার ঠিকানা। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।’’  

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মালিক, দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বাবায়ক আজাদ হোসেন বাবলু, ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী ব্যাপারী প্রমুখ।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনিসুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন। 

ঢাকা/মনোয়ার// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীকে দেখে স্লোগান দিয়ে নদীতে লাফ
  • আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় এক শতাংশ চোর-ডাকাত নাখোশ: ভিপি জয়নাল